মঙ্গলকোট কেন্দ্র থেকে আর লড়তে রাজি নন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

মঙ্গলকোটে তিনি জমি হারিয়েছেন দীর্ঘদিন। অঞ্চলের সাধারণ মানুষও বিধায়ককে নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ গোপন করেন না। এবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে আর দাঁড়াবেন না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী জানান, পাঁচ বছর ওখানে কাজ করেছেন। ওখানকার মাটি উত্তপ্ত। তাই মঙ্গলকোট থেকে আর ভোটে দাঁড়াতে ইচ্ছুক নন। নিজের ইচ্ছার কথা ইতিমধ্যেই দলনেত্রী এবং দলের অন্যান্য নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন বলেও গতকাল জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মঙ্গলকোটের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিবাদ। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন নিজের এলাকায় দেখা যায়নি সিদ্দিকুল্লাকে। ওই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও অজানা নয়। ফলে সব মিলিয়ে তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

গতকাল ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারার অভিযোগও জানান সিদ্দিকুল্লা। পাশাপাশি বিরোধের সুরও শোনা যায় তাঁর মুখে। কারো নাম না করেই গতকাল সিদ্দিকুল্লা অভিযোগ করেন - বীরভূম থেকে এই গরমটা খাওয়ানো হয়। দল দলের কাজ করছে। পর্যটন-সহ বিভিন্ন কাজ তিনি করতে পারেননি বলেও জানান প্রবীণ এই মন্ত্রী। পাশাপাশি বর্ধমানেই অন্য কোনও জায়গা থেকে তিনি লড়তে চান বলে জানান।

সাংবাদিকদের সামনে নিজের পাঁচ বছরের কাজের হিসেব দিতে গিয়ে তিনি বলেন - বিধায়ক তহবিলের টাকায় রাস্তা, পানীয় জল, প্রাচীর করার মতো ২২টি প্রকল্প তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সের করেছেন। যদিও মনিটরিংয়ের অভাবে সাধারণ মানুষ এই পরিষেবা পাননি বলেও অভিযোগ তাঁর। একইসঙ্গে তিনি জানান দলেরই কিছু মানুষের বাধায় তিনি বৈদ্যুতিক চুল্লি করতে পারেননি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in