

নির্বাচনের আগে সারদা চিটফান্ড কান্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে লেগেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আজই এই মামলায় সল্টলেকের ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের দুই প্রার্থী মদন মিত্র এবং বিবেক গুপ্ত। অপরদিকে, এই মামলায় রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এবং প্রাক্তন আইপিএস রজত মজুমদারকে তলব করলো ইডি।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ মার্চ বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সারদা চিটফান্ড কান্ড প্রকাশ্যে আসার পর তা তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল। সেই দলের অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। সূত্রের খবর, সিটের তদন্ত কতদূর এগিয়েছিল তা জানতে তলব করা হয়েছে তাঁকে। অন্য একটি সূত্রের দাবি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। সারদার একাধিক অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যেত। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
প্রাক্তন আইপিএস রজত মজুমদারকে ২৪ মার্চ হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সারদা মামলায় রজত মজুমদারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পেয়ে যান তিনি।
অন্যদিকে, আজ এই মামলায় ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল। সেগুলো নিয়েই আজ ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। ইডির দপ্তর থেকে বেরিয়ে হাসিমুখেই সাংবাদিকদের জানান, "কোনো চাপ নেই।"
মদন মিত্রের পাশাপাশি ইডির দপ্তরে আজ হাজিরা দিয়েছিলেন জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্ত। তাঁর প্রকাশনা সংস্থায় সারদার পত্রিকা ছাপা হতো। সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে তলব করা হয়েছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন