WB Election 21: দলীয় কর্মীকে সপাটে চড়, প্রচারে বেরিয়ে মেজাজ হারালেন মানস ভুঁইয়া

যদিও তৃণমূল প্রার্থী দাবি, কেউ ভুল করলে তাকে শাসন করার অধিকার তাঁর আছে। এই নিয়ে বাইরের কারও কিছু বলার নেই। এই ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে নাচানাচি করারও কিছু নেই।
চলছে প্রচার
চলছে প্রচারছবি সংগৃহীত
Published on

নিজের দলের প্রার্থীর হাতেই সপাটে চড় খাওয়া বা প্রার্থীর মুখ থেকে গালিগালাজ শোনার কথা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও দেখেননি তাঁরা। বাংলায় সাম্প্রতিক অতীতে এরকম ঘটেছে বলেও শোনা যায়নি। কিন্তু সেরকম ঘটনাই ঘটল একুশে বিধানসভা নির্বাচন শুরুর প্রাক্কালে। নিজের দলের প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার হাতে মার খেলেন তৃণমূলের কর্মী, শুনলেন গালিগালাজ। ঘটনার কথা স্বীকারও করেছেন প্রার্থী।

কী ঘটেছিল? সোমবার সবংয়ের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে প্রচারে বের হন। তাঁরা পৌঁছন বিষ্ণুপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দাসপুর গ্ৰামে। গ্ৰামের বাসিন্দারা অধিকাংশই তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। প্রার্থী গ্ৰামে পৌঁছাতেই বাংলা আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়া নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেয় প্রার্থীর কাছে। তাতেই নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। সপাটে চড় কষান দলীয় এক কর্মীকে।

গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে শীঘ্রই বাড়ি পেয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন মানসবাবু। তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে গ্রামবাসীরা পাল্টা জানতে চান 'কবে পাব, সেটাই জানতে চাইছি'। তখন তিনি দলীয় কর্মীদের কাছে জানতে চান, কতজনের নাম তালিকায় আছে। কর্মীরা জানান, সংখ্যাটা প্রায় আড়াইশো। কিন্তু সরকারিভাবে কোনও তালিকা না পাওয়ায় কোনও কাজ করা যায়নি। এরপর তিনি নেতাকর্মীদের উপর গালিগালাজ শুরু করেন। এক কর্মীকে সপাটে চড় কষান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে দ্রুত এলাকা ছাড়েন মানস ভুঁইয়া।

এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বভাবতই ভোটের ঠিক আগে এ ধরনের ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। একজন প্রার্থী কী করে দলীয় কর্মীর ওপরে আঘাত হানতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মহলের মতে, আবাস যোজনা নিয়ে যদি কোনও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, সে ক্ষেত্রে নিজেকে ঠান্ডা রাখাটা উচিত ছিল মানস ভুঁইয়ার। এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল প্রার্থী দাবি, কেউ ভুল করলে তাকে শাসন করার অধিকার তাঁর আছে। এই নিয়ে বাইরের কারও কিছু বলার নেই। এই ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে নাচানাচি করারও কিছু নেই। তবে এবার যে তিনি বেশ চাপে আছেন, তা স্পষ্ট এদিনের ঘটনায়। এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in