

১০ মার্চ, শিলিগুড়ি- শাসকদল ত্যাগ করার পাশাপাশি একের পর এক সরকারি পদে ইস্তফা দিলেন নান্টু পাল। এক অনুগামীর মারফৎ জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। কোন কোন পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি? দলের শিলিগুড়ি বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান, দল এবং বিরোধী দলের সদস্যপদ, এসজেডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান, উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন তিনি।
কিন্তু কে এই নান্টু পাল? নান্টু পালের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল আশির দশকে শিলিগুড়ি কমার্স কলেজে। তখন তিনি এসএফআই করতেন। দাপট ছিল সেই সময় থেকেই। এদিকে কমার্স কলেজ তখন ছাত্র পরিষদের হাতে। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার সিপিএমের টিকিটে পুর ভোটে জয়ী হন। তারপর আর কোনও দিন কাউন্সিলর নির্বাচনে হারেননি তিনি। প্রাক্তন বরো কমিটির চেয়ারম্যান নান্টুবাবু প্রাক্তন পরিবহণ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৪ সালে তৃণমূল যান। ২০০৬ সালে তৃণমূল হয়ে শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে তিনি হেরে যান অশোক ভট্টাচার্যের কাছে। ২০০৭-০৮ সালে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরেন নান্টু পাল। জিতে পুরসভার ডেপুটি মেয়র হন। এরপর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে ফের তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৫ সালে পুরসভা নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীকেও টিকিট দেয় তৃণমূল। জয়ী হন দুজনেই।
এবার শিলিগুড়ির প্রার্থী হওয়ার হেভিওয়েট দাবিদার ছিলেন তিনি। কিন্তু ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রার্থী হতেই বেসুরো হন নান্টু পাল। গত ৭ মার্চ শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি ছিল সেদিন তিনি নির্দলীয় প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করেন। কি পদ্ম শিবিরে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, "যোগাযোগ করেছে। কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। নির্দল হয়েই লড়ব।" বিকেল থেকে শহরজুড়ে তাঁর সমর্থনে শিলিগুড়ি উন্নয়ন সমিতির নামে ফ্লেক্সে লেখা 'নান্টু পাল তুমি এগিয়ে চলো। আমরা তোমার সঙ্গে আছি।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন