

৬ মার্চ, কলকাতা- এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল, বিজেপির প্রার্থী তালিকার মূল আকর্ষণ অভিনয় জগতের তারকারা। তৃণমূল থেকে ইতিমধ্যেই প্রার্থী হয়েছেন এরকম অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী। যদিও বিজেপি এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামীকাল রবিবার ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার পরই গেরুয়া শিবির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। এই মোদির সভাতেই অভিনেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন, এরকম একটা জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে তিনি শুধু বিজেপির হয়ে প্রচার করবেন না, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী অনেকদিন ধরে রাজনীতি থেকে আড়ালে ছিলেন। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে আসতে পারেন, সে সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। যদিও তিনি মুখে কিছু জানাননি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত মুম্বইয়ে তাঁর বাংলোয় দেখা করেন। তখন থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "রাজ্য ও বাইরে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি আছেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে বাংলার অবনতি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। মিঠুন চক্রবর্তীও তাঁদের মধ্যে অন্যতম।"
রাজ্যে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর অনেক অনুরাগী রয়েছেন। চিটফান্ড মামলায় জড়িয়ে পড়ায় তিনি রাজ্যসভার পদে ইস্তফা দেন। একইসঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু সেসব থেকে তিনি নিজেকে বের করে এনেছিলেন। তারপর ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। তারপর এই রাজ্যেও তাঁকে খুব বেশি দেখা যায়নি। তাই রবিবার মোদির সভায় তিনি কী বলেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন