২৩ এপ্রিল, আসানসোল- ১০ বছরে ওরা এত উন্নয়ন করেছে যে কুঁজো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তৃণমূল জিতবে না। ওরা বিজেপির কাছে মাথা নিচু করেছে। ১৪৭ জন তৃণমূলী বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন আসলে নীতি বদলের সংগ্রাম। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে তা করতে হবে। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাঁশরা কোলিয়ারিতে এভাবেই কটাক্ষ করলেন মীনাক্ষী মুখার্জি।
তাঁর কথায়, নির্বাচন আসলে নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। যে নীতিতে কয়লাখনি বন্ধ হচ্ছে। কয়লাখনি, রেল, বিএসএনএল, বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ ঘটছে। আদানি, আম্বানি দের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু পুঁজিপতিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ খেটেখাওয়াদের জীবন আরও কষ্টকর করে তুলেছে। কুৎসা, অপপ্রচার, মিডিয়ার একপেশে প্রচার ও প্রলোভনকে জয় করে পশ্চিমবঙ্গ আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে।
মীনাক্ষী বলেন, তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোট, পুরভোট হতে দেয়নি। বাঁশরার মানুষ প্রতিরোধের লড়াই দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ওরা বিভেদের রাজনীতি দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করছে। ওরা ভাতের কথা বলে না, ওরা রুজি-রুটির কথা বলে না। করোনার সময় দাদা-দিদি কেউই সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন না। কিন্তু আমরা ছিলাম। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সাধারণ মানুষ আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিল্পাঞ্চলের মানুষের লড়াই করছেন। এইচসিএল উঠে গেল। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানা ভালো নেই। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড ওয়াগন কারখানা আছে, কিন্তু শ্রমিক নেই। খনি গর্ভে জল জমলে পাম্প মেশিনের টাকা নেই। অথচ বিপুল খরচ করে হেলিকপ্টারে তাঁরা প্রচার করতে পারছে।
সংযুক্ত মোর্চাই বিকল্প বাংলা গড়বে, এই আশ্বাস দিয়ে যুবনেত্রী বলেন, রুজিরুটি ও কাজের বাংলা গড়ব। আমরা এক বছরের মধ্যে সমস্ত শূন্যপদ যোগ্যতার ভিত্তিতে পূরণ করব। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা মন্ত্রক গড়া হবে। ইস্তেহারে যা বলা হয়েছে, তাই করে দেখানো হবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।