১৪ এপ্রিল, কলকাতা- রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তাই নির্বাচনী জনসভায় করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে করোনাবিধি না মানায়, হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়। তারই একটি মামলার প্রেক্ষিতে এদিন এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী ও প্রার্থীদের প্রচার, জনসভা, রোড শো তে যে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় হচ্ছে, তা দেখে অনেকদিন আগে থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সচেতন নাগরিকরা।
শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশেই করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্র বা রাজ্যের কোনও নেতা-মন্ত্রী মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা ইত্যাদি কোভিড সংক্রান্ত কোনও বিধিনিষেধের কথা শোনা যায়নি। শুধু একে অপরের দিকে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ নিয়ে ব্যস্ত তাঁরা। সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কোনও সতর্ক বাণীও শোনা যায়নি তাঁদের মুখে। এমনকী, তাঁরা নিজেরাও মাস্ক ব্যবহার করেন খুবই সামান্যই।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক, যে কোনও জমায়েতে মাস্ক মাস্ট। সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। এসব বিধি মানা হচ্ছে কিনা, খেয়াল রাখবেন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা জেলাশাসকরা। প্রয়োজনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে। এই নির্দেশের পর নির্বাচন কমিশন কী কী পদক্ষেপ করল, ১৯ এপ্রিলের মধ্যে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।