রাজ্যের এক সাংসদের স্ত্রী এবং শ্যালিকার মাধ্যমে ব্যাংককের টাকা পাচার হয়েছে। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত। জেলে পোরা উচিত। শুক্রবার হাটগোবিন্দপুরে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর সমর্থনে একটি সমাবেশে এমনটাই বললেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
তিনি আরও বলেন, যারা রাজনীতিতে টাকা পাচার, সোনা পাচার এবং আখের গোছাতে এসেছে, তাদের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। এই হাটগোবিন্দপুরে একসময় তৃণমূলের সন্ত্রাসে মানুষের ঘর ভেঙেছে, আগুন লেগেছে, জমির পাকা ধান নষ্ট হয়েছে, জরিমানা আদায় করেছে, মামলা সাজিয়ে বহু মানুষকে জেলে পাঠিয়েছে। এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার মিছিলে বিমান বসুকে অপমান করা হয়। যদিও পরে সেই মানুষরাই প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। এদিনের সভায় তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কথায়, ৩০ বছর আগে কেউ তৃণমূলের নাম শুনেছিলেন? আরএসএস তৃণমূলের জন্ম দিয়েছে কংগ্রেসকে শেষ করতে। তৃণমূল-বিজেপির বোঝাপড়ার কথা আমরা বললেও তখন কেউ বিশ্বাস করেনি। তৃণমূলই বলেছিল আরএসএস দেশপ্রেমিক। যে সংগঠনের নাথুরাম গডসে গান্ধীজিকে খুন করেছিল, সে কত বড় দেশপ্রেমিক তা তো বোঝাই যায়। আরএসএস কখনও স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেয়নি। সেই আরএসএসকে যখন তৃণমূল দেশপ্রেমিক বলছে, তখন বোঝা যায় যে তাদের মধ্যে বোঝাপড়া কতখানি। এখন বিজেপির বেশিরভাগ প্রার্থী তৃণমূলের নেতা। বিজেপি গণতন্ত্রে নয়, মনুবাদ দর্শনে বিশ্বাসী। তাদের দলে মহিলাদের কোনও সম্মান দেওয়া হয় না।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি ২০১৪ সালে বলেছিল বছরে ২ কোটি বেকারকে চাকরি দেবে। তাহলে সাত বছরের মধ্যে ১৪ কোটি বেকারের চাকরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা তো হয়নি, উল্টে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। প্রবীণ এই বাম নেতার অভিযোগ, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারাই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ও বিজেপি সন্ত্রাস চালিয়েছে, তৈরি করেছে অশান্তি। ভাঙড়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর ওপর হামলা চালানো হয়। থানায় প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ আক্রান্তদের কোনও কথাই শোনেনি। তাঁর সাফ কথা , ১৭ এপ্রিল ভোটে ৩৪১টি বুথে পোলিং এজেন্ট বসিয়ে বুথকে শক্তিশালী করুন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।