ওয়াচ টাওয়ার-অগ্নি নিরোধক চাদর-ব্যারিকেড-গার্ডরেল, ব্রিগেডে মোদীর সভা ঘিরে চূড়ান্ত নিরাপত্তা

ব্রিগেডে দুটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যারিকেড দিয়ে পুরো ব্রিগেড ঘিরে ফেলা হচ্ছে। ব‍্যারিকেড ও গার্ড-রেল দিয়ে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে গ্রাউন্ডকে।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিফাইল ছবি
Published on

গত রবিবার ছিল বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের ব্রিগেড সমাবেশ। আর আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির জনসভা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। স্বভাবতই এই সভা ঘিরে নিরাপত্তার যাতে কোনওরকম ঘাটতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। আর তার প্রস্তুতিও তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি আধিকারিকরা। তাঁরা দফায় দফায় ব্রিগেড পরিদর্শন করছেন। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক চলছে।

কীভাবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে দেখে নেওয়া যাক যাক। ব্রিগেডের মূল মঞ্চের ওপর হ্যাঙ্গার ঝুলিয়ে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৩০ মিটার ও ৪০ মিটার আচ্ছাদন তৈরি করা হয়েছে। ছাদের উপর থাকবে অগ্নি-নিরোধক চাদর।

এসপিজি-র দুই শীর্ষ আধিকারিক বিপিন জোশি ও বিমল পাওয়ারের নির্দেশে ব্রিগেডে দুটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যারিকেড দিয়ে পুরো ব্রিগেড ঘিরে ফেলা হচ্ছে। ব‍্যারিকেড ও গার্ড-রেল দিয়ে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে গ্রাউন্ডকে। শুধু কার্ডধারীরা প্রথম ও দ্বিতীয় ক্যাটেগরির জোনে প্রবেশ করতে পারবেন। মাঠের যে কোনও একদিক দিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ব্রিগেডে ঢোকানো হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও ভিআইপিদের সংস্পর্শে আসতে পারেন, এমন ব্যক্তিদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতেই হবে।

বিজেপি জানিয়েছে, মোদির সভায় ৭-৮ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে। সভার সবকিছু শনিবার দুপুরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপনায় থাকা রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং জানান, নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই প্রস্তুত হয়ে যাবে গ্রাউন্ড। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মাঠের সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের পাউচ রাখা হচ্ছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in