

তিন বছর গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর পাহাড়ে ফিরে বারবার আবেদন করেছিলেন ভোটার লিস্টে নাম তোলার জন্য। কিন্তু নাম ওঠেনি। তাই এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারলেন না তিনি। তাই নিজেকে ঘরবন্দি রাখলেন রোশন গিরি।
২০১৭ সালে অশান্তির পরে বিমল ও তাঁর অনুগামীরা পাহাড় ছাড়লে তাঁদের নাম বাদ যায়। ২০২০ সালের নভেম্বরে ফেরেন তাঁরা। তখন ফের নাম তোলার চেষ্টা করেন। বিমল গুরুং ও অন্যদের নাম ভোটার লিস্টে উঠেছে। বাদ পড়েছে শুধু রোশনের নাম।
পাহাড়ে ফিরে কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডে একটি সভায় ঘোষণা করেন বিজেপির সঙ্গে আর নয়। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধোঁকা দিয়েছে। গুরুংয়ের সমর্থনে একাধিক সভার আয়োজন করেন তিনি। যদিও বিনয়-অনীতদের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় হাঁটেননি রোশন। রোশন গিরির কথায়, আমি এই দেশের নাগরিক। অথচ ভোট দিতে পারলাম না।
একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোশন গিরি কার্যত হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'আমাকে হতাশ করেছে গোটা বিষয়টা। কাকে দোষ দেব আমি? বিমল দাজুর নাম অবধি এল। আমার বিরুদ্ধে এত মামলা নেই। তাও আমি ভোট দিতে পারলাম না।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন