
৫ মার্চ, কলকাতা- সুপারি দেওয়া নাকি বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ নিশ্চিত করার চেষ্টা, যা পরিস্থিতি তাতে ধরতে পারা যাবে না। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা পুরসভার যেসব ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল, সেখানে যদি দলকে লিড দিতে পারেন, তাহলেই মিলবে ইনাম। সেই ইনামের পরিমাণটা কিন্তু একেবারে কম নয়। একহাজার, ১০ হাজার বা ৫০ হাজার নয়। একলাখ, ১০ লাখ বা ৫০ লাখও নয়। ইনাম মিলবে পাক্কা এক কোটি টাকা! বৃহস্পতিবার কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলর ও ব্লক নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে তৃণমূল নেতৃত্ব এই ইনামের কথা জানিয়ে দেয়।
কিন্তু নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর যেখানে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে, শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কতটা নীতি অনুযায়ী চলা হচ্ছে, বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়ে। আজ তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করার কথা। কারা প্রার্থী হচ্ছেন, ইতিমধ্যেই তা চূড়ান্ত। কিন্তু বিশেষ করে কলকাতার কাউন্সিলরদের মধ্যে তা নিয়ে একটা অসন্তোষ ছড়িয়েছে বলে খবর। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারের বৈঠক হয়। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরনেতা ফিরহাদ হাকিম, প্রশান্ত কিশোরও।
সূত্রের খবর, বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমো যাকে প্রার্থী করবেন, তাঁকে সমর্থন করতে হবে। তাঁর হয়েই প্রচার করতে হবে। পাশাপাশি এটাও বলা হয় লোকসভা ভোটে পিছিয়ে পড়া জায়গায় যদি লিড দেওয়া যায়, তাহলে ইন্সেন্টিভ হিসেবে কাউন্সিলর তহবিলে যাবে এক কোটি টাকা! তৃণমূলের এই প্রতিশ্রুতিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, তৃণমূল দেউলিয়াপনার নিদর্শন দিচ্ছে ওরা। তীব্র নিন্দা করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, “এভাবে অর্থের প্রলোভন দেখানো বেআইনি।" কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন