

দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে একাধিক ভুয়ো সার্ভে রিপোর্টে ছেয়ে গেছে বাংলা। এই মুহূর্তে কমপক্ষে তিনটি এরকম রিপোর্ট নেটমাধ্যম এবং লিফলেট আকারে ঘোরাঘুরি করছে, যার কোনোটিতে শাসকদল তৃণমূল আবার কোনোটিতে বিরোধী বিজেপিকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনটি সার্ভে রিপোর্টের দুটি রিপোর্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেগুলোতে নন্দীগ্রামের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
আগামীকাল এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে, যেখানে এবারে তৃণমূলের প্রার্থী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রার্থী তাঁরই একসময়ের সহকর্মী শুভেন্দু অধিকারী। এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দুটো সমীক্ষা তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংগঠন, ইন্ডিয়ান পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি বা আই-প্যাকের তরফ থেকে পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে, যেগুলোর একটি ২৯ মার্চ এবং অন্যটি ৩১ মার্চ প্রথম প্রকাশিত হয়। দুটিতেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। আই-প্যাকের তরফ থেকে এই সমীক্ষাকে ভুয়ো বলে দাবি করা হলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত এই রিপোর্ট নিয়ে সংগঠনের তরফ থেকে কোনো পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এবং চন্দ্রকোনার সর্বত্র গতকাল রাতের অন্ধকারে একধরনের লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে দুটি কেন্দ্রেই ভালো ফল করবে তৃণমূল। আগামীকাল এই দুটি কেন্দ্রেও ভোট। তবে এই দুটি লিফলেটের প্রচারকারী হিসেবে একটিতে আরএসএস এবং অন্যটিতে রাজ্য পুলিশের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এবং আরএসএস উভয়ই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এরকম কোনো লিফলেট বিলি করেনি তারা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন