কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনার জেরে আগামী দফাগুলিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালানোর জন্য আরও ৭১ দফা কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বিভিন্ন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, আগামী দিনগুলিতে তাহলে কি হিংসা আরও বাড়বে?
এমনিতেও শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন মুখ খোলেনি। বরং তারা কিছুটা ব্যাকফুটে। শনিবার রাতেই নির্দেশিকা জারি করে প্রচার শেষের নিয়ম বদলানো হয়েছে। আবার ৭২ ঘণ্টা কোনো রাজনৈতিক নেতা–মন্ত্রী কোচবিহারে যেতে পারবেন না বলা হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শীতলকুচির ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যে আসছে ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে থাকছে ৩৩ কোম্পানি বিএসএফ, ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১৩ কোম্পানি আইটিবিপি, ৯ কোম্পানি এসএসবি এবং ৪ কোম্পানি সিআইএসএফ।
আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফার নির্বাচন। তারপর বাকি তিন দফার নির্বাচন রয়েছে ২২, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল। ২ মে ভোটগণনা। নির্বাচন কমিশন কোনওভাবেই চায় না এই শেষ চার দফার নির্বাচনে কোনও অশান্তি হোক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে, ততই অশান্তি বাড়ছে। শীতলকুচির ঘটনায় তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। তাই বাকি চার দফা কেমন হবে, তা সময়ই বলবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।