

২৮ মার্চ, কলকাতা- ভোট প্রচারে বেরিয়ে দোষারোপ, অভিযোগ, রাগের বহিঃপ্রকাশ দস্তুর। তবে এর পাশাপাশি পারস্পরিক সৌজন্য বিনিময়ের ঘটনা যে দেখা যায় না, তা নয়। তবে তা নেহাতই হাতেগোনা ঘটনা। একজন খুবই সম্প্রতি রাজনীতিতে পা রেখে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার টিকিট পেয়েছেন। তারই প্রস্তুতি হিসেবে জনসংযোগ প্রক্রিয়ায় বেরিয়েছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে। তিনি যশ দাশগুপ্ত। দ্বিতীয়জন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। পশ্চিমবঙ্গের বামনেতাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। প্রবীণ রাজনীতিবিদ মহম্মদ সেলিম। শনিবার প্রচারে বেরিয়ে হঠাৎ সাক্ষাৎ দুই বিরোধী শিবিরের পদপ্রার্থীর।
পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত এবং সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মহম্মদ সেলিম একে-অপরকে দেখে কুশল বিনিময় করলেন। এদিন সন্ধ্যায় হুগলির চণ্ডীতলার জনাই রোডে প্রচারে বেরিয়েছেন সেলিম। তখন গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত। সেলিমকে দেখেই তড়িঘড়ি গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে অভিজ্ঞ রাজনীতিকের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন।
যশের বিনম্র আচরণে আপ্লুত হন সেলিমও। আশীর্বাদ করলেন বিরোধী শিবিরের অনুজকে। যশ-সেলিমের এমন সৌহার্দ্য বিনিময়ের দৃশ্য দেখে আপ্লুত বাসিন্দারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রে নবাগত যশ দাশগুপ্তের লড়াইটা খুব একটা সহজ হবে না। একদিকে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী বাম শিবিরের মহম্মদ সেলিম, অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী দু’বারের বিধায়ক স্বাতী খন্দকার। যশ দাসগুপ্তের স্টার-ফ্যাক্টর কতটা কাজ করবে, সেটা সময়ই বলবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন