মহামারীর সময় হেলিকপ্টারে উড়ে উড়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিজেপি - সূর্যকান্ত মিশ্র

"কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতারা হেলিকপ্টারে করে প্রচার করছে তাদের ক্ষমতা আছে বলে। সেই জন্যই সন্ধ্যা সাতটার পর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন।"
সূর্যকান্ত মিশ্র
সূর্যকান্ত মিশ্রফাইল ছবি- মোনালিসা সিনহার ফেসবুক প্রোফাইলের সৌজন্যে
Published on

১৯ এপ্রিল, কলকাতা- করোনার এই মহামারীর সময় হেলিকপ্টারে উড়ে উড়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিজেপি। অথচ সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সময়টুকুও তাদের নেই। হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য পর্যাপ্ত বেড নেই, অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। সরকারি কাজ অবহেলা করে তৃণমূল ও বিজেপির নেতারা বাংলায় সরকার গড়ার অপচেষ্টা করছে। সেই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে আমজনতাকেই। রাজ্যবাসীর কাছে এমনই আবেদন জানালেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

তিনি আরও বলেন- করোনা মহামারী রুখতে কেন্দ্র কোনও কাজ করেনি। নির্বাচন কমিশনও কোনও কাজ করছে না। কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতারা হেলিকপ্টারে করে প্রচার করছে তাদের ক্ষমতা আছে বলে। সেই জন্যই সন্ধ্যা সাতটার পর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। মহামারীতে ১৫ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কারখানায় উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি হয় না। ফের করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মোদি বা দিদি কেউ আপনাদের বাঁচাবে না। করোনাবিধি মেনে চলুন। করোনা সংক্রমণে তিন নম্বর থেকে এক নম্বরে এসে পৌঁছেছে দেশ। অথচ তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভাবনা-চিন্তা নেই। তারা ব্যস্ত শুধু বঙ্গের প্রচার নিয়ে।

তিনি অভিযোগ করেন- হাসপাতালে অক্সিজেন নেই। এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংকট মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চাইলেও কথা বলতে পারছেন না। অথচ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধু গোল গোল দাগ কেটে যায় সেরেছেন। কমিউনিটি কিচেন তৈরি করে রক্ত, ওষুধ, খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজটা আসলে করেছে বামপন্থী ছেলেমেয়েরাই। তিনি মনে করছেন, এবারে মানুষ ভোট লুট রুখে নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন। তাই শুধু বাংলা থেকে তৃণমূলের সরালে হবে না। কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে সরাতে বাংলাই দিশা দেখাবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সূর্যকান্তের কটাক্ষ, গান্ধীজিকে হত্যা করেছিল আরএসএস। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু আরএসএসের নয়। ওরা দেশকে ধর্মের নামে ভাগ করতে চাইছে। দরিদ্র, সাধারণ মানুষকে লড়াইয়ে নামিয়ে কর্পোরেটদের সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে। মহামারীতে সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি বরং মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কিন্তু ধনকুবেররা আরও ধনী হয়েছেন। সংযুক্ত মোর্চা আসল জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে একটা দেশ গড়ে তোলার মাধ্যম। যারা ভেবেছিলেন বিজেপিকে দিয়ে তৃণমূলকে সরানো সম্ভব, এখন তারাই দেখছেন তৃণমূলের অর্ধেক নেতা চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। আবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অনেক আরএসএস। যারা মানুষের দরকারে নেই, তাদের সরকারে প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষ বামপন্থীদের চান, সংযুক্ত মোর্চার সরকার চান।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in