ফের বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এবার ভোটের দিনই নন্দীগ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায়। মৃতের নাম উদয় শংকর দেব। তাঁর পরিবারের দাবি, খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। এই সমস্ত ঘটনায় অভিযোগের তির উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একদল লোক উদয়শংকরের বাড়িতে এসে তাঁকে খুনের হুমকি দেন। বলা হয় ভোট দিতে গেলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। সেই আতঙ্কেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, পূর্ব ভেকুটিয়ার বাসিন্দা উদয়শংকর দীর্ঘদিন সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। এই কারণে আগেও তাঁকে বারবার তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। রাস্তাঘাটেও হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে একদল তৃণমূল কর্মীর হুমকি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে উদয়শঙ্করের নিজের বাড়িতেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
এবার বিধানসভা নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজ্যের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র এই নন্দীগ্রাম। অশান্তির আশঙ্কায় আগেই ১৪৪ ধারা জারি হয়ে গিয়েছিল। অধিকারী গড়ে ভোটের দিন এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হুমকির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন উদয়শংকর, এই অভিযোগ তুলে পথে নেমেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হন তাঁরা। তাঁদেরও আশঙ্কা, তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে, তাতে তাঁদের পক্ষেও ভোট দিতে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিজেপি কর্মী পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাই আত্মঘাতী হয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।