
সিআরপিএফকে বলে দেব গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে হয়, পা লক্ষ্য করে যেন না হয়। সায়ন্তন বসুর একটি নির্দেশ ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। আর তা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
শনিবার চতুর্থ দফা ভোটের দিন রক্তাক্ত হয় কোচবিহারের শীতলকুচি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন যুবকের মৃত্যু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামবাসীদের হাতে ঘেরাও হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। এমনটাই জানানো হয়েছিল বাহিনীর পক্ষ থেকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাওয়ের নিদান এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তারপর থেকেই দু'পক্ষের মধ্যে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পর্ব চলছে। আর ঘটনার পর থেকে ভিডিওটি ভাইরাল।
যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হয়নি। কি আছে ভিডিওটিতে? সেখানে সায়ন্তনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সিআরপিএফকে বলে দেব গুলি যেন বুক লক্ষ্য করে যায়। গুলি যেন পা লক্ষ্য করে না যায়। পুলিশকে থানার মধ্যেই আটকে রেখে দেব। থানার বাইরে বের করতে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকুন। ভোটের সময় এই ভ্যবলা পুলিশ শুধু প্যারেড করবে। এমন বাড়াবাড়ি দেখানো হবে যাতে দৌড়াদৌড়ি তো দূরের কথা, এখন যাবে দৌড়ে আর ফিরবে খাটিয়াতে করে। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেব।’
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ের একটি ভিডিয়ো ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল। বিদায়ী মন্ত্রিসভার বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘ভিডিওটি ২০১৯ সালের না এখনকার, এটা কি বিজেপি আমাদের বোঝাবে? শীতলকুচির ওই হত্যাকাণ্ডের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সরাসরি বিজেপির নির্দেশেই কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালিত হচ্ছে। এবং তাঁরা পরিকল্পিত ভাবেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।'
পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলে মানুষ যা যা করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তাই তাই করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার কথা বলে উনি জনতার কাঠগড়ায়। এখন পাল্টা দিতে ২০১৯ সালের একটি ভিডিও ভাইরাল করে হইচই করছে তাঁর দলবল।' দু’বছর আগে যে প্রেক্ষিতে এই কথা বলা হয়েছিল, আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা বলে দাবি করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন