

ভোটার্স মিট। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের এটাই থিম। এই স্লোগানেই তিনি এবার জনসংযোগ গড়ে তুলতে চাইছেন। এবার তাঁর প্রতিপক্ষ সদ্য সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা তাঁরই শিষ্য শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু একচিলতে জায়গাও ছাড়তে নারাজ পোড়খাওয়া রাজনীতিক হিসেবে 'ভোটার্স মিট'-এর মাধ্যমে গণসংযোগ শুরু কর। অশোকবাবু।
এদিকে শঙ্কর ঘোষ কীভাবে প্রচার সারলেন? কখনও ব্যাট হাতে, কখনও চায়ে পে চর্চায় সময় কাটিয়ে অথবা তাঁকে ভোট দেওয়ার কারণ ভোটারদের বুঝিয়ে। এভাবেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট প্রচারে ব্যস্ত থাকলেন শঙ্করবাবু। প্রচারের ফাঁকেই নাম না করে রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যকে আক্রমণও করলেন তিনি। শহরের অনুন্নয়নকে হাতিয়ার করতে চাইলেন। তাঁর দাবি, শিলিগুড়ি জেলা বিজেপির আওতাভুক্ত সমতলের চার আসন শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া এবং ডাবগ্রামে বিজেপি ঝড় উঠেছে। কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায়। রাজ্যেও ক্ষমতায় আসছে। তাই এবারে শিলিগুড়ি পুরসভাতেও বিজেপিকে আনতে হবে । প্রশ্ন তুললেন শহরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে।
টেক্কা দিচ্ছেন শঙ্কর ঘোষের রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যও। এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এদিন প্রচারে বেরিয়ে শিলিগুড়ি কলেজের চারপাশে হাঁটলেন। কথা বললেন প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে। কলেজ মাঠেও ছুটে বেড়ালেন। সংবাদপত্র দেখলেন, চা খেলেন কর্মী, সমর্থক, সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে। ছিলেন গৌতম দেবের পাড়াতেই। প্রশ্নের জবাবে হেসেই বললেন ওর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। কেন অহেতুক সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে নাটক দেখাতে যাব? ও নিজেও তো একটি কেন্দ্রের প্রার্থী। কোনও বিতর্কে না গিয়ে এখন তাঁর একটাই উদ্দেশ্য 'ভোটারস মিট'।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন