৫ মার্চ, কলকাতা- শাসক ও বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশই কোটিপতি। শুধু তাই নয়, ৩২ শতাংশ বিধায়ক গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত। বুধবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল নাগরিক নজরদার সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ রিপোর্টে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন বা তার পরের উপনির্বাচনে ২৮২ জন বিধায়কের হলফনামায় দেখা গিয়েছে, ৫০ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধেই রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। রাজ্যে ৬জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে তিনজন গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। কংগ্রেসের ৩৯ শতাংশ এবং সিপিএমের ৪২ শতাংশ বিধায়ক অভিযুক্ত। সার্বিক ভাবে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত কংগ্রেসের ৫১ শতাংশ বিধায়ক। তৃণমূলের ৩০ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা রয়েছে। ৯০ জন খুন, ধর্ষণ, অপহরণের মতো জামিন-অযোগ্য এবং গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত। ১০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে মহিলা ঘটিত অপরাধ এবং সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। সব মিলিয়ে ১০৪ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে।
রাজ্যের ধনী বিধায়ক হলেন বাঁকুড়ার তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন এবং কলকাতার কসবার বিধায়ক জাভেদ খান। তাঁরা প্রত্যেকেই পেশাগত ভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তৃণমূল বিধায়কদের মাথাপিছু গড় সম্পত্তি এক কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা, বিজেপি বিধায়কদের মাথাপিছু গড় সম্পত্তি এক কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। ধনসম্পত্তির পরিমাণে সব থেকে নীচে রয়েছেন পাঁশকুড়ার সিপিএম বিধায়ক শেখ ইব্রাহিম আলি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।