
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৯৮৬ সালে সুনীল গাভাসকর ও শ্রীকান্তের ওপেনিং জুটির গড়া সর্বাধিক রানের রেকর্ড ভাঙলেন কে এল রাহুল এবং যশস্বী জওসোয়াল জুটি। ২০১ রানে থামলো ওপেনিং জুটি। পাশাপাশি এক মরসুমে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ছয়ের মালিক হলেন যশস্বী।
প্রথম ইনিংসে ভারত ১৫০ রানই তুলতে পেরেছিল। জবাবে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য ১০৪ রান অল আউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং-র ব্যর্থতা মুছে দিলেন যশস্বী এবং রাহুল। একের পর এক রেকর্ড ভাঙতে থাকেন তাঁরা। ২০০৩ সালে আকাশ চোপড়া ও বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ১৪৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের রেকর্ড ভাঙেন যশস্বী-রাহুল। এরপর ১৯৮১ সালে গাভাসকর-চেতন চৌহানের ১৬৫ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড টপকান রাহুল-যশস্বী।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই ১৯৮১ সালে গাভাসকর-শ্রীকান্তের করা ১৯১ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড ভেঙে দেন বর্তমানের দুই তারকা ব্যাটার। ২০১ রানে শেষ হয় এই ওপেনিং জুটি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় ওপেনিং জুটি হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ রান। মিচেল স্টার্কের বলে আউট হয়ে ৭৭ রানে ফিরতে হয় রাহুলকে।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যশস্বীর এটা প্রথম টেস্ট। তৃতীয় দিনে এক মরসুমে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ছয় মেরে পুরুষদের টেস্টে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন যশস্বী। এখনও পর্যন্ত তিনি ৩৪টি ৬ মেরেছেন। ২০১৪ সালে ব্রেন্ডন ম্যাকুলামের গড়া ৩৩টি ছয়ের রেকর্ড ভাঙলেন তিনি এক মরসুমে (২০২২) টেস্টে ২৬টি ছয় মেরে তৃতীয় স্থানে বেন স্টোকস। ২০০৫ সালে ২২টি ছয় মেরেছিলেন অজি তারকা অ্যাডম গিলক্রিস্ট এবং ২০০৮ সালে বীরেন্দ্র সেহওয়াগও মেরেছিলেন ২২টি ছয়।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যশস্বী অপরাজিত রয়েছেন ১৪১ রানে এবং দেবদত্ত পাড়িক্কাল ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। ৮৪ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ভারত ২৭৫ রান করেছে। লিড রয়েছে ৩২১ রানের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন