

চোট সারিয়ে ফিরে এসে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছলেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না নোভাক জকোভিচ। জয় করা হল না ২৫ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ফাইনালে তাঁর দৌড় থামিয়ে দিলেন স্পেনের কার্লোস আলকারাজ। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনই আর কিছুক্ষণ পরেই ইউরো কাপ ২০২৪-এর ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে স্পেন। আর সেই ইংল্যান্ডের মাটি থেকেই নোভাক জকোভিচের বিরুদ্ধে কার্যত একতরফা লড়াই করে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন আলকারাজ।
গত বছরেও এই সেন্টার কোর্টেই সার্বিয়ান জকোভিচকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিলেন আলকারাজ। এবছরেও তার ব্যতিক্রম হল না। জকোভিচকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে তিনি জয় করলেন পুরুষদের উইম্বলডন খেতাব। খেলার ফলাফল ৬-২, ৬-২, ৬-৭। মাত্র ৭২ মিনিটেই জকোভিচের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেন স্পেনীয় তারকা।
এদিনের খেলায় একবারের জন্যেও স্বমূর্তিতে দেখা যায়নি জকোভিচকে। বরং ৩৭ বছর বয়সী জকোভিচকে কোর্টে কার্যত নাস্তানাবুদ করলেন ২১ বছর বয়সী স্পেনীয় তারকা। কোর্টে তাঁর দাপটের সামনে এদিন অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন জকোভিচ। এদিনের পরাজয়ের ফলে রজার ফেডেরারের ৮টি উইম্বলডন জেতার রেকর্ডও ছুঁতে পারলেন না জকোভিচ।
প্রথম দুই সেটে দাঁড়াতে না পারলেও তৃতীয় সেটে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। ম্যাচ টাইব্রেক পর্যন্ত গড়ালেও আত্মবিশ্বাসী আলকারাজের সামনে তিনি দাঁড়াতে পারেননি।
কার্লোস আলকারাজের বয়স মাত্র ২১ বছর। মে, ২০০৩ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন (২১ বছর ৭০ দিন)। এখনও পর্যন্ত উইম্বলডনের সর্বকনিষ্ঠ বিজয়ী বরিস বেকার। যিনি ১৭ বছর বয়সে খেতাব জেতেন এবং পরের বছরেও সেই খেতাব ধরে রাখেন। তিনিই বিশ্বের তৃতীয় কনিষ্ঠ খেলোয়াড় যিনি পরপর দু’বছর খেতাব ধরে রাখলেন।
এই তালিকায় তৃতীয় নাম বিয়র্ণ বর্গ-এর। ২২ বছর বয়সের আগে তিনিও দু’বার উইম্বলডন জিতেছেন। বেকার (১৮ বছর, ২২৭ দিন, ১৯৮৫-৮৬) এবং বর্গ (২১ বছর, ২৬ দিন, ১৯৭৬-৭৭)। এর পরেই আছেন আলকারাজ।
উইম্বলডনের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত পুরুষদের চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ জন পরপর দু’বছর খেতাব জয় করেছেন। এই তালিকায় আছেন, রড লেভার, জন নিউকম্ব, বিয়র্ণ বর্গ, জন ম্যাকেনরো, বরিস বেকার, পিট সাম্প্রাস, রজার ফেডেরার এবং নোভাক জকোভিচ।
শেষবার ২০১৮ থেকে ২০২২ (২০২০ তে কোনও চ্যাম্পিয়নশিপ হয়নি) একটানা খেতাব জেতেন নোভাক জকোভিচ। তারও আগে ১৯৭৬ থেকে ১৯৮০, একটানা পাঁচবার খেতাব জিতেছিলেন বিয়র্ণ বর্গ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন