

শেষ রক্ষা হলো না। প্রথমবার উইম্বলডনের মিক্সড ডাবলসের সেমিফাইনালে পৌঁছালেও ফাইনালের টিকিট পেলেন না সানিয়া মির্জা এবং তাঁর ক্রোয়েট পার্টনার ম্যাট প্যাভিক। বুধবার রাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জুটি ব্রিটেনের নিল স্কুপস্কি ও আমেরিকার ডিসারি ক্রচিকের কাছে ৬-৪, ৫-৭, ৪-৬ হেরে খেতাব জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো সানিয়াদের।
প্রথম সেটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জুটিকে মাত দেন সানিয়া মির্জারা। কিন্তু দ্বিতীয় সেট শুরুতেই বাঁ পায়ের চোটের জন্য বেরিয়ে যেতে হয় সানিয়া মির্জাকে। এরপর পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ফের মাঠে নামেন তিনি। একসময় মনে হয়েছিলো স্ট্রেট সেটেই বাজিমাৎ করবেন ইন্দো-ক্রোয়েট জুটি। কিন্তু সানিয়ার দুর্বল সার্ভিস এবং ডাবল ফল্টে ৩-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা সমতা গড়ে। এরপর দ্বিতীয় সেট নিজেদের নামেই করে নেন স্কুপস্কি-ডেসিরাই জুটি।
নির্ধারক তৃতীয় সেটে লড়াই করলেও ম্যাচ জিততে পারলেন না সানিয়ারা। সার্ভিস ধরে রাখতে না পারার কারণে বেশ ভুগতে হয়েছে ভারতীয় টেনিস তারকাকে। ৪-৬ ব্যবধানে তৃতীয় সেট হারের সাথে সাথেই টেনিস কেরিয়ারে শেষ উইম্বলডনে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে সানিয়াকে।
গতকাল জিততেই পারতেন সানিয়ারা। প্রথম এবং শেষবার উইম্বলডনের মিক্সড ডাবলসের সেমিফাইনালের স্মৃতিটি সুখকর হলো না সানিয়ার। উইম্বলডনে এর আগে এক বারই ফাইনালে উঠেছিলেন সানিয়া। সাত বছর আগে ২০১৫ সালে। সে বার মার্টিনা হিঙ্গিসকে নিয়ে ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। অল ইংল্যান্ড ক্লাবে এটিই সানিয়ার একমাত্র শিরোপা। পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সানিয়ার সামনে এখন শুধু ইউএস ওপেনই অবশিষ্ট রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন