দাবা ছাড়া কোন খেলা পছন্দ প্রজ্ঞানন্দর! কলকাতায় এসে জানালেন ‘গ্র্যান্ডমাস্টার’

People's Reporter: “কার্লসেনেরকে অনলাইনে হারিয়েছি। সামনে বসে খেলার সময় বুঝতে পারছিলাম ও কখন চাপে পড়ছে। কিন্তু অনলাইন বা অফলাইন, যে ভাবেই খেলি না কেন, কার্লসেন সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ।”
আর প্রজ্ঞানন্দ
আর প্রজ্ঞানন্দফাইল চিত্র
Published on

কলকাতায় রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। সদ্য দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও ১৮ বছরের এই গ্র্যান্ডমাস্টার সকলের মন জয় করেছেন । আর কলকাতায় আয়োজিত ২০২৩ টাটা স্টিল চেস ইন্ডিয়াতে অংশ নিতে এলেন । হানঝাউ এশিয়ান গেমসের আগে এই শহরেই সারবেন প্রস্তুতি।

এরই মাঝে সাংবাদিকদের সামনে উজাড় করে দিলেন তার সমস্ত ঝুলি। এলো দাবা ছাড়া অন্য প্রসঙ্গও। এদিন প্রজ্ঞানন্দ জানালেন, সত্যি কথা বলতে আমি এখনও প্রত্যেকদিনই শিখছি। ভবিষ্যতে আরও ভাল পারফরমেন্স করব আশা রাখি । আমার মধ্যে বিশ্বসেরা হওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে। ভিসি স্যরের (আনন্দ) সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হয়। যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারি। অনেক কিছু শিখি আমি ওঁর থেকে। ভিসি স্যরের খেলা দেখেও শিখি।”

বিশ্বকাপ জেতার পর প্রত্যাশার চাপ নিয়ে বললেন , “এখনও চাপ অনুভব করছি না। তবে অন্যেরা কী ভাবছে সেটা নিয়ে আমি ভাবি না। নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলি।” ম্যাগনাস কার্লসেনকে নিয়ে জানালেন - “কার্লসেনেরকে অনলাইনে হারিয়েছি। সামনে বসে খেলার সময় বুঝতে পারছিলাম ও কখন চাপে পড়ছে। কিন্তু অনলাইন বা অফলাইন, যে ভাবেই খেলি না কেন, কার্লসেন সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। ওকে হারাতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হবে।' প্রত্যেক ভারতীয়র মত তারও ক্রিকেট প্রেম আছে। তাঁর কথায় - “আমি ক্রিকেট দেখি। ভারতীয় দলের খেলা দেখতে ভাল লাগে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আমার প্রিয় খেলোয়াড়। কারণ ও দাবা খেলতে পছন্দ করে।”

বিশ্বকাপের সময় দেখা যায় , প্রজ্ঞার মা নাগালক্ষ্মী সব সময় তাঁর পাশে রয়েছেন। প্রজ্ঞা মনে করেন দাবা খেলতে গেলে, পরিবারের পাশে থাকাটা খুব প্রয়োজন। না হলে বড় হওয়া যায় না। প্রতিপক্ষ হয়তো আমার মুখ দেখে বুঝতে পারে না, আমি চাপে আছি কি না। কিন্তু মা পারে। মায়ের পাশে থাকাটা আমার কাছে খুবই বড় একটা মানসিক জোর। প্রতিযোগিতা যখন চলে, সেই সময় আমার মাথায় দাবা ছাড়া আর কিছু থাকে না। মা সব কিছু সামলে নেয়।”

আর প্রজ্ঞানন্দ
৩৭ বছর পর শীর্ষ স্থান হারালেন বিশ্বনাথন আনন্দ! ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু কে জানেন?

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in