প্যারিসের মাটিতে এসে জয় অর্জন করলেও চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালের দরজা বন্ধ হয়ে গেলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নমিউনিখের। লেভনডস্কি, সার্জ জিনাব্রি বিহীন বায়ার্নকে হারালো প্যারিস সাঁ জার্মেইন। গতবারের ফাইনালের মধুর বদলা নিলো নেইমাররা। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লীগে মিউনিখে পিএসজি জিতেছিলো ৩-২ ব্যবধানে। গতরাতে দ্বিতীয় লীগে পার্ক দেস প্রিন্সেসে বাভেরিয়ানরা ১-০ ব্যবধানে জিতলেও সেমিতে যাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিলো না। করতে হতো আরও এক গোল। ৩-৩ এগ্রিগেট হলেও অ্যাওয়ে গোলের অ্যাডভান্টেজে সেমিতে পৌঁছে গেলো গতবারের রানার্স আপ প্যারিস সাঁ জার্মেইন।
প্রথম লীগে ৩-২ ব্যবধানে হারার পর আগে থেকেই চরম অনুশীলন শুরু করেছিলো হানসি ফ্লিকের দল। ফ্লিক আশাবাদী ছিলো, কঠিন হলেও তারা লড়াই করে ম্যাচ জিতবে। বায়ার্নের আক্রমণ ভাগের দুই প্রধান অস্ত্র পোলিশ সেনসেশন রবার্ট লেভনডস্কি এবং জার্মান তারকা সার্জ জিনাব্রি ছিলেন না দলে। যা পিএসজির কাছে বড় অ্যাডভান্টেজ ছিলো। তবে লেরয় সানে, কিংসলে কোম্যান এবং এরিক ম্যাক্সিমকে নিয়ে আক্রমণ ভাগ সামলাচ্ছিলেন টমাস মূলার। প্রথমার্ধের ৪০ মিনিটে এরিক ম্যাক্সিম গোলও করে দেন। কোণঠাসা বায়ার্ন পায় আশার আলো। পুরো ম্যাচে আর এক গোল করতে হতো। তবেই পাওয়া যেতো সেমির টিকিট। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। লড়াই চালিয়েও আর কোনো গোল দিতে পারেনি ফ্লিকরা। শেষ ১১ মরশুমে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সেমিতে পৌঁছালো না বাভেরিয়ানরা।
অন্যদিকে সাত বছর পর সেমিফাইনালে টমাস টুখেলের চেলসি। গতরাতে কোয়ার্টারের দ্বিতীয় লীগে পর্তুগীজ ক্লাব এফসি পোর্তোর কাছে ১-০ গোলে হারলেও সেমির টিকিট পেতে অসুবিধা হয়নি ব্লুজদের। তার কারণ প্রথম লীগে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলো তারা। গতরাতে মেহেদী তারেমি পোর্তোর হয়ে গোল করলেও ২-১ এগ্রিগেটে শেষ চারে পৌঁছায় চেলসি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।