শিলা বৃষ্টিতে ঢাকা ছিলো এতিহাদ স্টেডিয়াম। আর সেই মাঠেই বল পায়ে টিউলিপ ফোটালেন রিয়াদ মাহরেজ। পিএসজিকে নাস্তানাবুদ করে মাহরেজ করলেন জোড়া গোল। ২-০ ব্যবধানে দ্বিতীয় লেগে জয়ের ফলে ৪-১ এগ্রিগেটে সিটি পৌঁছে গেলো তাদের প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে। একইসঙ্গে দীর্ঘ দিনের শাপমুক্তি ঘটলো পেপ গার্দিওলার। ২০১১ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে তার দল।
প্রথম লীগে পার্ক দেস প্রিন্সেস থেকে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে ফিরেছিলো ম্যান সিটি। দ্বিতীয় লীগে নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচ ড্র কিংবা ১-০ গোলে হারলেও তাদের ফাইনাল নিশ্চিত ছিলো। চলতি মরশুমে অ্যাওয়ে ম্যাচে দুরন্ত ফর্ম দেখিয়েছে পিএসজি। তাই কিক অফের আগে মনে করা হয়েছিলো লড়াই হবে কাঁটায় কাঁটায়। তবে সমস্ত অনুমানে কার্যত জল ঢেলে জয় পেলো সিটিজেনরা। আর জয়ের নেপথ্যে নায়ক সিটির আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রিয়াদ মাহরেজ।
এদিন ম্যাচ শুরুর ১১ মিনিটেই গার্দিওলাকে এগিয়ে দেন মাহরেজ। প্রথমার্ধে এই লীডই ধরে রাখে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে ফিল ফোডেনের পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন মাহরেজ। আর সেইসঙ্গে কার্যত সিটির জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় গোলের ঠিক ৬ মিনিট পরেই আবার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজির আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে। এরপর দশ জনের প্যারিসিয়েনদের সামলাতে কোনো অসুবিধা হয়নি গার্দিওলা শিষ্যদের।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ডি ব্রুইনের গোলে সমতা আসে সিটির। এরপর রিয়াদ মাহরেজর গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচে লীড পায় তারা। সেমিফাইনালের দুই লেগেই গোল করলেন মাহরেজ। অন্যদিকে পিএসজি দুই লেগেই দেখলো লাল কার্ড। প্রথম ম্যাচে ইদ্রিশ্যা গায়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ডি মারিয়া।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।