করোনা ভাইরাসের জেরে এবার বদলে গেলো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালের ভ্যেনু। ২৯ শে মে ইস্তাম্বুলে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বর্তমান তুরস্ক করোনা ভাইরাসের রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের দাপটে উদ্বিগ্ন তুরস্ক সরকার। এই পরিস্থিতিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হলো পর্তুগালের পোর্তোতে।
চলতি মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে উঠেছে দুই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এবং চেলসি। ২৯ শে মে ইস্তানবুলের আটাটার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমে এই হাইভোল্টেজ ফাইনালের আয়োজন করা হয়। কিন্তু তুরস্কে করোনা সংক্রমণ বিপুল ভাবে বেড়েছে। তাছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে দুই দলের সমর্থকরাও তুরস্ক যেতে পারবেনা। সব দিক মিলিয়ে দেখে অবশেষে পোর্তোর এস্তাদিও ডো দ্রাগাওতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাইনাল। এই ম্যাচে দুই দলের ৬,০০০ করে মোট ১২,০০০ সমর্থক স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতে পারবে।
পর্তুগাল হলো ইংল্যান্ডের কাছে গ্রিন জোন। করোনা পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে এই দেশটিতে। তাছাড়া পর্তুগালে ফাইনালে অংশ নেওয়া খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের ইংল্যান্ড ফিরে আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তাই তুরস্ক থেকে ভ্যেনু সরিয়ে নিতে বেশি ভাবতে হয়নি উয়েফা কর্তৃপক্ষ এবং যুক্তরাজ্য সরকারকে। পোর্তোও তড়িঘড়ি করে ফাইনাল মঞ্চস্থ করার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
তুরস্কের ফুটবল কর্তৃপক্ষ ইস্তানবুলে ফাইনালের জন্য দু বছরে যে কাজ করেছে তার জন্য আফসোস রয়েই যায়। গতবছর ইস্তানবুলের পরিবর্তে ফাইনাল মঞ্চস্থ হয় পর্তুগালের লিসবনে। উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফারিন তুরস্ককে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে অল্প দিনের নোটিশে ফাইনাল অনুষ্ঠিত করার জন্য সম্মতি দেওয়ায় ধন্যবাদ জানায় পর্তুগীজ ফুটবল সংস্থাকেও।
উয়েফার সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফারিন একটি বিবৃতিতে বলেন, "গত ১২ মাস ধরে নিজেদের প্রিয় ক্লাবের খেলা মাঠে বসে দেখতে পায়নি সমর্থকরা। সমর্থকদের ফাইনাল ম্যাচটি ব্যক্তিগতভাবে দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা কোনও বিকল্প ছিল না এবং আমি আনন্দিত যে এর সমাধান পাওয়া গেছে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।