

প্রথম ভারতীয় মহিলা সাঁতারু হিসেবে অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেলেন মান্না প্যাটেল। টোকিও অলিম্পিকে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক বিভাগে নামবেন তিনি। 'ইউনিভার্সিটি কোটা' থেকে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করলেন দেশ-বিদেশে সাড়া জাগানো এই ২১ বর্ষীয় আমেদাবাদের তরুনী। অলিম্পিকের মঞ্চে ভারতের হয়ে ভালো কিছু করার আশায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মান্না।
অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের পর মান্নাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন কেন্দ্র ক্রিড়া মন্ত্রী কিরেন রিজ্জেজু। তিনি বলেন, "ব্যাকস্ট্রোক সাঁতারু মান্না প্যাটেল প্রথম মহিলা এবং তৃতীয় ভারতীয় সাঁতারু হিসেবে টোকিও অলিম্পিক ২০২০-র যোগ্যতা অর্জন করেছেন।ইউনিভার্সিটি কোটা থেকে সুযোগ পাওয়া মান্নাকে অভিনন্দন জানাই। খুব ভালো।" কিরেন রিজ্জেজুর পাশাপাশি মান্নাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া।
২০১৯ সালে সালে গোড়ালিতে চোটের কারণে অনেক দিন থেকেই সাঁতারের বাইরে ছিলেন মান্না। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে উজ়বেকিস্তান ওপেনে চমক দেখান এই ভারতীয় তরুণী। অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত মান্না। তিনি বলেন, "খবরটা পাওয়ার পর থেকে যেন ঘোরের মধ্যে আছি। দেশ-বিদেশের কত ক্রীড়াবিদকে অলিম্পিক্সে অংশ নিতে দেখেছি। এ বার বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় আমার নামও লেখা থাকবে। সেরা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে লড়াই করার সুযোগ পাব, এটা এক দারুণ অনুভূতি।"
কেরলের সজন প্রকাশ আগেই টোকিও অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। তারপর সজনের সঙ্গী হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন শ্রীহরি নটরাজ। এবার প্রথম মহিলা তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে সজন, শ্রীহরির সঙ্গী হলেন আমেদাবাদের মান্না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন