Tokyo Olympics: হাজারো বাধা জয় করে রাজস্থানের অখ্যাত গ্রামের ভাবনা জাটের টোকিও যাত্রা

পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা, মেয়েদের খেলাধুলোয় অংশগ্রহণ নিয়ে সামাজিক বাধা কাটিয়ে কাবরা গ্রামের ভাবনা এখন অলিম্পিকের ২০ কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতার জন্য চূড়ান্ত প্র্যাকটিসে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছেন।
ভাবনা জাট
ভাবনা জাটফাইল ছবি, শর্টপিডিয়ার সৌজন্যে
Published on

এক দরিদ্র কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা রাজস্থানের রাজসমন্দ অঞ্চলের ভাবনা জাট এবারের টোকিও অলিম্পিকে ভারতের হয়ে অংশগ্রহণ করছেন। অলিম্পিকের জন্য নিজেকে তিলে তিলে প্রস্তুত করা ভাবনার একটাই স্বপ্ন – দেশের জন্য টোকিও থেকে পদক নিয়ে আসা।

পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা, মেয়েদের খেলাধুলোয় অংশগ্রহণ নিয়ে সামাজিক বাধা কাটিয়ে কাবরা গ্রামের ভাবনা এখন অলিম্পিকের ২০ কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতার জন্য চূড়ান্ত প্র্যাকটিসে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এই ভাবনাই উচ্চ মাধ্যমিকের পর আর্থিক কারণে পড়াশুনো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। শর্টস পরে প্র্যাকটিস করার কারণে গ্রামের মানুষের কটূক্তি এড়াতে প্রতিদিন ভোর ৩টেয় প্র্যাকটিসে যেতে হত ভাবনাকে।

গ্রামের স্কুলে পড়ার সময় এক হাঁটা প্রতিযোগিতায় রূপো জয় করার পর ভাবনার জীবন অন্যপথে চালিত হয়। এরপরেই একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করেন ভাবনা এবং প্রতিটিতেই পদক জেতেন। তাঁর সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে চাকরি পান রেলে।

গত ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে ভাবনা শিরোনামে আসনে জাতীয় রেকর্ড করে। রাঁচিতে ন্যাশনাল ওপেন রেস ওয়াকিং চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিয়ে এই রেকর্ড ভাবনার সামনে অলিম্পিকের দরজা খুলে দেয়। ওই প্রতিযোগিতায় ভাবনা সময় করেন ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। অলিম্পিকে এই বিভাগের যোগ্যতামান ১ ঘণ্টা ৩১ মিনিট।

অথচ ২০১১-র আগে ভাবনার কোনো ধারণাই ছিলো না অলিম্পিক সম্পর্কে। কিন্তু গত ৯ বছরে ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে তৈরি করেছেন অলিম্পিকের জন্য। ভাবনার এই সাফল্যে তাঁর গ্রামের মানুষের মনোভাবেও বড়োসড়ো বদল এসেছে। এখন ওই গ্রামের অনেক অভিভাবকই চান তাঁর মেয়েও ভাবনার মত ক্রীড়াবিদ হয়ে উঠুক।

- with IANS input

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in