আগামী ২৩ শে জুলাই থেকে আসর বসছে টোকিও অলিম্পিকের। করোনা কবলে জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ কিছুটা ঢেকে থাকলেও অলিম্পিক নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে বলেই জানা গিয়েছে। তবে এই সময় এক স্বস্তির খবর হলো অলিম্পিকের আগে অস্ট্রেলিয়ান টিমকে করোনার টীকাকরণ করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফল দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। তবে অন্যান্য দেশগুলিতে টীকাকরণ শুরু হলেও অস্ট্রেলিয়াতে সরকারের নিজস্ব সময়সূচীর চেয়ে অনেক পিছিয়ে শুরু হচ্ছে। কিন্তু সামনে টোকিও অলিম্পিক থাকায় অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে অ্যাথলিটদের দ্রুত টীকাকরণের অনুমতি দেওয়া হয়। সোমবার টীকা পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তিনবার অলিম্পিকে নামা কেট ক্যাম্পবেল।
ব্রিসবেনের কুইন্সল্যান্ড একাডেমি অফ স্পোর্টস থেকে টিকাকরণ করা হয় চতুর্থ বার অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত নেওয়া সাঁতারু ক্যাম্পবেলের। যে সমস্ত ক্রীড়াবিদরা জাপানে উড়ে যাবেন তাদের জন্য ক্যানবেরা থেকে ভ্যাকসিনেসানের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক অ্যাক্সিসে সম্মতি জানানো হয়। প্রায় ২০০০ অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তারা অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিকের জন্য যাচ্ছেন।
অন্যান্য দেশগুলিতে যেভাবে করোনার প্রকোপে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে জাপানে সেই সংখ্যাটা অনেক কম। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জাপানে প্রাণ হারিয়েছে মোট ১০,৫০০ জন। কিন্তু জাপানে অস্ট্রেলিয়ার মতোই টীকাকরণ চলছে খুব ধীরগতিতে। গত সপ্তাহে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে আক্রান্ত জাপানের টোকিও সহ বেশ কয়েকটি শহরে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়ে মে মাসের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অলিম্পিক বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছেনও অনেক। তবে উদ্বেগ সত্ত্বেও, জাপান সরকার ও অলিম্পিক কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে অলিম্পিক নিরাপদে অনুষ্ঠিত হবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।