

শনিবার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল। গুয়াহাটিতে নামার আগেও ডার্বিতে রেফারির সিদ্ধান্ততে ম্যাচ ড্র কিছুতেই ভুলতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত।
ইস্টবেঙ্গল কোচ জানান, 'সায়নকে যে ভাবে ফাউল করা হয়েছিল তাতে দিমিত্রিকে কার্ড দেখাতে পারতেন, কিন্তু রেফারি তা করেননি। এ ভাবে ফুটবলের উন্নতি হয় না। প্রত্যেকটা দল নকআউটে ওঠার জন্য লড়াই করছে। সেখানে রেফারির একটা কার্ডও বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্লে অফের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য আমরা অনেক কিছু করছি। অনেক চেষ্টা করছি। প্রতিটা ম্যাচই জেতার সুযোগ পেয়েছি আমরা। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আরও বেশি পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু পাইনি, কখনও নিজেদের ভুলে, কখনও অন্যের ভুলে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা বজায় রাখব। আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে আমাদের'।
পাশাপাশি কুয়াদ্রাত বলেন, 'আমরা এমন একটা দল গড়ার চেষ্টা করছি, যারা আইএসএলের উচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। আমরা এখনও পর্যন্ত দু’টো ফাইনালে উঠেছি এবং দেখাতে পেরেছি যে, মোহনবাগান, মুম্বই সিটি এফসি ও ওড়িশা এফসি-র মতো চ্যাম্পিয়ন টিমগুলোকেও আমাদের দল সমস্যায় ফেলতে পারে'।
অন্যদিকে গোলের অভাব মেটানোর জন্যই নতুন দুই বিদেশী ফেলিসিও ব্রাউন (স্ট্রাইকার) ও ভিক্টর ভাজকেজকে (মিডফিল্ডার) নিয়ে এসেছে লাল-হলুদ ক্লাব। তাঁদের নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, 'গোলের অভাবের জন্যই কয়েকজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছি আমরা। যেমন ভিক্টর ও ফেলিসিওকে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, ওরা আমাদের আরও বেশি গোল দিতে পারবে, আমাদের গোলের খরা মেটাবে। সায়ন ও বিষ্ণুর মতো তরুণদেরও তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যাতে ওরা আক্রমণে আরও সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
