
ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য মাত্রা ১৫.৩ ওভারেই তুলে নিলো ইংল্যান্ড। আমেদাবাদে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেটে বড় জয় নিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো মর্গ্যান বাহিনী।
দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেন দুই ব্রিটিশ ওপেনার জেশন রয় এবং জস বাটলার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৭২ রান। বাটলার ২৪ বলে ২৮ রান করেন এবং রয়ের ব্যাটে আসে ৩২ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর আর উইকেট খোয়াতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। ডেভিড মালান এবং জনি বেয়ারিস্টো ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন। ১৭ বলে ২৬* রানে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারিস্টো এবং ডেভিড মালান অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ২৪* রানে। ভারতের হয়ে এদিন মাত্র একটি করে উইকেট নেয় যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।
ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারত। শুরুতেই ২ উইকেট পড়ে যায়। ওপেনার লোকেশ রাহুল মাত্র ১ রানে জোফরা আর্চারের শিকার হন। এরপরেই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেন। বিরাটকে ফেরান আদিল রাশিদ।
ভারতের স্কোর যখন ২০ তখন ব্যাক্তিগত ৪ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ার জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ঋষভ ২১ রান করেই ফিরে যান। এদিন বাইশ গজে একা ভারতের মান বাঁচালেন শ্রেয়স আয়ার। আয়ারের ৪৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংসের দৌলতেই ১০০ রানের গন্ডি অতিক্রম করতে পেরেছে ভারত। হার্দিক পান্ডিয়া১৯ রান এবং শার্দুল ঠাকুর শূন্য রানে ফেরত যান। ওয়াশিংটন সুন্দর (৩*)এবং অক্ষর প্যাটেল(৭*) শেষে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে এদিন তিনটি উইকেট তুলে নিলেন জোফরা আর্চার। একটি করে উইকেট নেয় আদিল রাশিদ, মার্ক উড, বেন স্টোকস এবং ক্রিস জর্ডন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন