থাইল্যান্ডের মাটিতে স্বপ্নপূরণ বঙ্গতনয়ার, এশিয়ান যোগা চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ পদক জয় সিঙ্গুরের নেহার

একক ভাবে আর্টিস্টিক যোগা ও রিদিমিক যোগাতে প্রথম হয়ে স্বর্ণ পদক এবং ট্রাডিশনাল যোগাসন ও যুগল ভাবে আর্টিস্টিক যোগাসনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সিলভার মেডেল জয় করেছে নেহা।
নেহা বাগ
নেহা বাগছবি - ট্যুইটার
Published on

থাইল্যান্ডের মাটিতে স্বপ্নপূরণ বঙ্গতনয়ার। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আর্টিস্টিক প্রতিযোগীতা ২০২২-এ ৪ টি পদক (২টি সোনা, ২টি রূপো) জয় করে ভারতকে সাফল্য এনে দিল নেহা বাগ। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই প্রতিযোগিতা।

নেহা বাগ হুগলি জেলার সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের মেয়ে। হুগলির নরসিংহ দত্ত কলেজে স্নাতক স্তরে শিক্ষা বিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে সে। আন্তর্জাতিক স্তরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম যোগাসন প্রতিযোগিতা। একক ভাবে আর্টিস্টিক যোগা ও রিদিমিক যোগাতে প্রথম হয়ে স্বর্ণ পদক এবং ট্রাডিশনাল যোগাসন ও যুগল ভাবে আর্টিস্টিক যোগাসনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সিলভার মেডেল জয় করেছে নেহা।

এত বড় সাফল্য প্রসঙ্গে নেহার বক্তব্য, কোন্নগরের যোগা প্রশিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার তাঁকে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। মাত্র ৪ বছর বয়সেই তাঁর কাছে নেহার যোগাসনে হাতে খড়ি হয়। জাতীয় স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় একাধিক খেতাব জয় করেছে সে।

এশিয়ান যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপে এতগুলো পদক জেতা সহজ ছিল না নেহার কাছে। দরিদ্র কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা নেহার ছোটবেলা কেটেছে আর্থিক অনটনের মাঝেই। বাড়ির সামনের সামান্য জমিতে চাষ করে কোনও রকমে সংসার চালায় নেহার বাবা অমর বাগ। তবে চূড়ান্ত আর্থিক অনটন কোনওভাবেই প্রভাব ফেলতে পারেনি নেহার যোগাসনে।

ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়ান যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছিল নেপাল, চীন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া সহ মোট দশটি দেশ। ভারতের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিল সিঙ্গুরের নেহা বাগ ও বর্ধমানের রামিশা দফাদার। ২০২৩ সালে বিশ্ব যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। তাতে অংশ নেওয়ার জন্য এখন থেকেই কঠোর অনুশীলন শুরু করেছে নেহা।

নেহা বাগ
CWG 22: কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে লং জাম্পে দেশকে প্রথম পদক এনে দিলেন শ্রীশঙ্কর

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in