"সরকারি শাটলার" - BJP-র জয়ে আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্যুইট করে সমালোচিত সাইনা নেহাওয়াল

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর আজ নিজের ট‍্যুইটারে ভারতের তারকা শাটলার লেখেন, "উত্তরপ্রদেশে জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন নির্বাচনে দুর্দান্ত জয়ের জন্য যোগী আদিত্যনাথ মহাশয়কে হার্দিক অভিনন্দন জানাই।"
সাইনা নেহাওয়াল
সাইনা নেহাওয়ালফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

উত্তরপ্রদেশের জেলা পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনে "দুর্দান্ত জয়ের" জন্য রাজ‍্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত‍্যনাথকে অভিনন্দন জানিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়লেন ব‍্যাডমিন্টন চ‍্যাম্পিয়ন সাইনা নেহওয়াল। রাষ্ট্রীয় লোকদলের প্রেসিডেন্ট জয়ন্ত চৌধুরী তাঁকে "সরকারি শাটলার" বলে কটাক্ষ করেছেন।

আগামী বছর রাজ‍্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই জেলা পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন বিজেপির কাছে লিটমাস টেস্ট ছিল। সেই নির্বাচনে বিরোধীদের বড় ধাক্কা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ৭৫টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসন দখল করেছে বিজেপি জোট। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র পাঁচটি আসন। রাষ্ট্রীয় লোক দল, জনসত্তা দল এবং এক নির্দল প্রার্থী একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ‍্যে আসার পরই আজ সকালে নিজের ট‍্যুইটারে ভারতের তারকা শাটলার লেখেন, "উত্তরপ্রদেশে জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন নির্বাচনে দুর্দান্ত জয়ের জন্য যোগী আদিত্যনাথ মহাশয়কে হার্দিক অভিনন্দন জানাই।" গতবছর জানুয়ারি মাসে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সাইনা নেহওয়াল।

এরপরই বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েন পদ্মভূষণ জয়ী ব‍্যাডমিন্টন তারকা। রাষ্ট্রীয় লোকদলের সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী ট‍্যুইটারে লেখেন, "জনগণের রায়কে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে বিজেপির দক্ষতাকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন সরকারি শাটলার। আমি মনে করি সেলিব্রিটিরা যেভাবে ভোটারদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, তাতে ভোটারদেরও পাল্টা দান ফেলা উচিত।"

তামিলনাড়ু কংগ্রেসের সংখ‍্যালঘু বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ জে আসলাম বাসা সাইনাকে খোঁচা দিয়ে ট‍্যুইটারে লেখেন, "ধর্মনিরপেক্ষতা আপনার অনুরাগীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে। কেন আপনি খেলা বন্ধ করেছেন?"

উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩০৫০ পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি পায় ৮৪২টি আসন। বিজেপি পায় ৬০৩টি আসন। বিএসপি পায় ৩৪২টি, কংগ্রেস ৬৯ ও অন্য ছোট দলগুলি পায় ১০৬টি আসনে জয়লাভ করে। ১০৮৮টি আসনে জয়ী হয় নির্দল। যদিও অধিকাংশ জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি বিজেপি দখল করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই মোদি-যোগী প্রথম থেকেই পঞ্চায়েত সভাপতি পদ দখল করার চেষ্টা চালায়। মায়াবতীও কয়েকদিন ধরে বিজেপির সুরে কথা বলছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে বিএসপি দাঁড়াবে না বলে আগেই জানিয়ে দেয়। মায়াবতীর এই সিদ্ধান্ত বিজেপির সুবিধা করে দেবার জন্যেই বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in