সেমিফাইনালে দ্বিতীয় সেট চলাকালীন বিপজ্জনক ভাবে ডান পায়ের গোড়ালি ঘুরে যায় আলেক্সান্ডার জভেরেভের। কোর্টের মধ্যেই শুয়ে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন বিশ্বের তিন নম্বর জার্মান তারকা। কোর্টের অপর প্রান্ত থেকে দৌড়ে আসেন নাদাল। সেখানেই অল্প চিকিৎসার পর হুইল চেয়ারে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। জভেরেভের খেলা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মিশ্র এক অভিজ্ঞতা নিয়ে রোলাঁ গারোতে ১৪ তম ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন রাফায়েল নাদাল।
লাল মাটির সম্রাট নিজের জন্মদিনটা হয়তো সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলেন জভেরেভর বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়ে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে তা কল্পনাই করতে পারেননি রাফা। অপর প্রান্তে যখন গোড়ালি মচকে পড়ে গিয়েছেন জার্মান তারকা, তৎক্ষণাৎ ছুটে গিয়েছেন তিনি। ডাক্তারেরা যখন সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তখনও জভেরেভর পাশে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন নাদাল। অবশেষে দুঃস্বপ্নের মতো হুইল চেয়ারে করে মাঠ ছাড়তে হয় জভেরেভকে।
এদিন প্রতিটা মুহূর্তেই দুই পক্ষের মধ্যে ছিলো টান টান উত্তেজনা। প্রথম সেটই গড়ায় টাইব্রেকারে। ৭-৬ (১০-৮) ব্যবধানে এই সেট জেতেন নাদাল। দ্বিতীয় সেটেও টাইব্রেকারে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিলো। ঠিক তখনই, ফলাফল যখন ৬-৬, অঘটনটি ঘটে। এরপর জভেরেভের পক্ষে কোর্টে নামা আর সম্ভব হয়নি।
আলেক্সান্ডার জভেরেভ হুইল চেয়ারে করে কোর্ট ছাড়লেও অফিসিয়ালি নাদালকে তখনই ফাইনালের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে অল্প সময় পর ক্র্যাচ হাতে ফিরে এসে জভেরেভ ম্যাচ তুলে নেন। নাদাল জড়িয়ে ধরে প্রতিদ্বন্দ্বীকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কথা বলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন