

ইংল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটারের শোয়েব বসিরের ভিসা না পাওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেন স্টোকস। পাশাপাশি ইংল্যান্ড সরকারের তরফেও ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মুখ খুলেছেন রোহিত শর্মাও।
২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সমস্ত প্লেয়ার ভারতে চলে এলেও ভিসা সমস্যার জন্য দলের সাথে আসতে পারেননি তরুণ ক্রিকেটার শোয়েব বশির। যা নিয়ে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেন, "ডিসেম্বর মাসেই আমরা আমাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলাম। তরুণ স্পিনার হিসেবে বশিরকে আমরা দলে নিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি। আমি এটা কখনই চাইনি যে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের সাথে তাঁর প্রথম অভিজ্ঞতা খারাপ হোক"।
তিনি আরও বলেন, "তবে শুধু বশিরই নন যিনি এই ধরণের পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন। এর আগে বহু প্লেয়ারের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে। যা হয়েছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক"।
বশিরের ভিসা সমস্যা নিয়ে শুধু বেন স্টোকসই নয় ব্রিটেন সরকারও ঘটনার সমালোচনা করেছে। তাদের তরফ থেকে বলা হয়, আমরা আশা করবো সমস্ত ব্রিটিশ নাগরিকদেরই সমান চোখে দেখা হোক। ভিসা দিলে সকলকেই দেওয়া হোক। এর আগেও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে ভিসা দেওয়া হয়নি। কেন বার বার একই সমস্যা তৈরি হবে?
বশিরের ভিসা না পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন রোহিত শর্মাও। তিনি বলেন, "আমি তাঁর অবস্থা বুঝতে পারছি। সম্ভবত তিনি প্রথম ভারতে আসছিলেন। কিন্তু আমিতো আর ভিসা অফিসে বসে নেই যে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে আশা করি তিনি দ্রুত সমস্যা কাটিয়ে ইংল্যান্ড দলে অভিষেক করবেন"।
উল্লেখ্য, শোয়েব বশিরের বয়স এখন ২০ বছর। জানা যাচ্ছে ইংল্যান্ডে জন্ম হলেও তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। সম্ভবত হায়দরাবাদ টেস্টেই অভিষেক হতো তরুণ এই স্পিনারের। কিন্তু তা হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন