

মুম্বই এফসিকে যুবভারতীতে ২-১ গোলে হারিয়ে মোহনবাগান লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই ট্রফি টিম বাসে না গিয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার গাড়ি করে তাঁর বাড়িতে যায়। এই নিয়েই তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
মোহনবাগান আইএসএল আর ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও দেখা গিয়েছিল সেই ট্রফি ক্লাবে পাকাপাকি ভাবে না গিয়ে সেটা স্থান পায় গোয়েঙ্কার অফিসে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সুপার কাপ জেতার পরে সেটা লাল হলুদ ক্লাবেই গিয়েছে। তাহলে মোহনবাগানের ট্রফি কেনো তাঁদের ক্লাবে থাকবে না? মোহনবাগান সমর্থকদের একাংশ হতাশা প্রকাশ করেন এই নিয়ে।
এই নিয়ে সমর্থকদের আশ্বাস দিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, 'কখনই টিম বাসে করে ট্রফি যায় না। আমরা যখন আই লিগ জিতি তখন আমরা টিম বাসে করে সেলিব্রেট করতে পারিনি। মহামেডানের সেলিব্রেশনের সময় আইলিগ ভেঙে গিয়েছিল, ফলে সতর্ক থাকতে হয়। তাই বাক্স করে শিল্ড গিয়েছে। চিরকাল এটাই হয়। বাক্স করে ট্রফি যায়, কেউ হাতে করে বা টিম বাসে করে নিয়ে যায় না ট্রফি। গতবার আমরা ট্রফি জেতার পরে পুরো টিম এসেছিল, প্লেয়ার কোচ সবাই ছিলেন। এখন সেলিব্রেশন কীভাবে করব সেটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। কারণ আইপিএলের জন্য ক্লাবের সামনের রাস্তা অনেকসময় বন্ধ থাকছে। আর আইএসএলও চলছে তাই সেলিব্রেশন হচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, প্লেয়ারদের মোটিভেশন যাতে নড়ে না যায় সেটার জন্য দেখছেন হাবাস। উনি কড়া কোচ, ওনার জন্যই জিতেছি। কোচকে অনুসরণ করছি। প্লেয়ার কোচদের ছাড়া সেলিব্রেশন করে লাভ কী? সবকিছু হবে। ট্রফি ক্লাবেই থাকবে, কোথাও যাবে না। সবাই দেখতে পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল, আইএফএ, সাদার্ন সমিতি সব জায়গা থেকে শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন