

শেষ মুহূর্তে এসে প্রীতম কোটালের গোলে জয় হাতছাড়া হলো হায়দরাবাদের। এটিকে মোহনবাগানের কাছে এই ম্যাচ নিয়মরক্ষার হলেও, নক আউট পর্বে পৌঁছানোর জন্য হায়দরাবাদের জয় ভীষণ ভাবে প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু ম্যাচ ২-২ ব্যবধানে ড্র হওয়ায় ম্যানুয়াল মার্কুইজের কপালে চিন্তার ভাঁজ। প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকলেও সমীকরণ হয়ে গেছে জটিল। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং এফসি গোয়ার হার জিতের উপর নির্ভর করছে নিজামের শহরের ভাগ্য।
ভাস্কো ডা গামার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটেই চিঙ্গেলেনসনা সিং ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ম্যানুয়াল মার্কুইজেরা পরিণত হয় দশ জনে। তবে ম্যাচের ৮ মিনিটেই গোলের দেখা পায় নিজামের শহর। হলিচরণ নার্জারির পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এরিডানে। প্রথমার্ধে এই লীডই বজায় রাখে তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে সমতা ফিরে পায় সবুজ মেরুনরা। ডেভিড উইলিয়ামসের বাড়ানো পাস থেকে গোল করেন মনভীর সিং। এবার ৭৫ মিনিটে রোলান্ড আলবের্গ দুরন্ত এক গোল করে হায়দরাবাদকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিলো। অঘটন ঘটে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে। ৯৪ মিনিটে প্রীতম কোটাল গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে সমতা এনে দেন।
এই ম্যাচের শেষে ১৯ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ। প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকলেও সমীকরণ কঠিন হয়েছে তাদের। কারণ পঞ্চম স্থানে থাকা নর্থইস্ট ১৮ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়া ১৯ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট দখল করেছে। অন্যদিকে এটিকে মোহনবাগান নিয়মরক্ষার ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করে ফেলেছে। ১৯ ম্যাচে সবুজ-মেরুনদের সংগ্রহ ৪০ পয়েন্ট।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন