
২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত নাটকীয়ভাবে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো এসসি ব্যাঙ্গালুরুকে। ভাস্কো ডা গামার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ৮৬ মিনিট পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে সুনীল ছেত্রীরা। এরপরেই ঘটে অঘটন। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই দুই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের গোলে সমতা ফিরে পায় ম্যানুয়াল মার্কুইজের বাহিনী। সেইসঙ্গে টানা সাত ম্যাচ পর জয়ের স্বপ্নও ভঙ্গ হয় নাউসাদ মুসার ব্যাঙ্গালুরুর।
বৃহস্পতিবার এক সময় মনে হয়েছিলো ব্যাঙ্গালুরু বহু প্রতীক্ষিত জয়ের স্বাদ পেতে চলেছে। তার কারণ আজ মাঠে নামার আগের সাত ম্যাচে পাঁচটিতেই হারতে হয়েছে তাদের। লীগ টেবিলেও নবম স্থানে ছিলো তারা। ৮৬ মিনিট পর্যন্ত যখন ২-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে তখন ব্যাঙ্গালুরু সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলো জয় তাদের শিবিরে। কিন্তু ম্যাচ শেষের স্কোর লাইন হতাশ করলো তাদের।
এদিন প্রথমার্ধের ৯ মিনিটেই ক্লেইটন সিলভার বাড়ানো পাস থেকে গোল করে ব্যাঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন স্বয়ং অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভারতীয় মিডফিল্ডার লেওন অগাস্টিন। তবে এদিন পিছিয়ে থাকলেও হাল ছাড়েনি ম্যানুয়াল মার্কুইজের দল। ৮৬ মিনিটে হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম গোলটি করেন দলের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড তথা অধিনায়ক এরিডানে। এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই যোগ করা সময়ে ব্যাঙ্গালুরুকে হতাশ করে হায়দরাবাদকে সমতা এনে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফ্রান সান্দাজা।
ব্যাঙ্গালুরু এদিন এগিয়ে থাকলেও ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই বল ছিল হায়দরাবাদের দখলে। এই ম্যাচে ৬৫ শতাংশ বল দখলে রাখে হায়দরাবাদ এবং ৩৫ শতাংশ ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচের শেষে হায়দরাবাদ তার লীগ টেবিলের জায়গায় অনড় থাকলো। ১৪ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে এরিডানেরা। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল লীগ টেবিলের সপ্তম স্থানে সুনীল ছেত্রীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন