ওয়াংখেড়েতে অনবদ্য শতরান করলেন দেবদূত পাড়িক্কেল। বিরাট-দেবদূতের ব্যাটিং তান্ডবে ২১ বল বাকি থাকতেই রাজস্থানের দেওয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্য মাত্রা টপকে গেলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আরসিবির ইতিহাসে প্রথম উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের পার্টনারশিপ গড়লেন পাড়িক্কেল-বিরাট জুটি। তারা অপরাজিত থাকেন ১৮১* রানের পার্টনারশিপ গড়ে। ১০ উইকেটে দুরন্ত জয় নিয়ে টানা চার ম্যাচ অপরাজিত রইলো বিরাট বাহিনী।
রাজস্থানের দেওয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট খোয়াতে হয়নি আরসিবিকে। রান তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম শতরান করলেন পাড়িক্কেল। ১১ টি চার এবং ৬ টি ছক্কার মাধ্যমে ৫২ বলে ১০১* রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অপর ওপেনার তথা দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৭২* রানের ঝাঁ চকচকে ইনিংস খেলে। তার ইনিংসে রয়েছে ৬ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি ওভার বাউন্ডারি। সেইসঙ্গে কোহলি এদিন আইপিএলের মঞ্চে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৬,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন।
ওয়াংখেড়েতে এদিন ১৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান। বাটলারকে ৮ রানে এবং মিলারকে রানের খাতা না খুলতে দিয়েই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান সিরাজ। মনন ভোরা ৭ রান করে জেমিসনের শিকার হন। শুরুতেই ব্যাক ফুটে চলে যাওয়া রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ফিরে যান ২১ রান করে।
চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে এরপর আশার আলো দেখাতে থাকেন শিবম দুবে এবং রিয়ান পরাগ। রিয়ান পরাগ ১৮ বলে ২৫ রান করেন এবং দুবে ৩২ বলে ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর রাহুল টিওয়াটিয়া দলকে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ২৩ বলে ৪০* রানের দুরন্ত ইনিংস আসে তার ব্যাটে। তবে টিওয়াটিয়া ফিরে যাওয়ার পর টেল এন্ডাররা বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেনি। ক্রিস মরিস ১০ রান করেন এবং শ্রেয়স গোপাল ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।