
পাঞ্জাবের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৪৯ বলে ৯২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন শিখর ধাওয়ান। ১৯৬ রানের টার্গেট ১০ বল বাকি থাকতেই টপকে গেলো দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬ উইকেটে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিলো ঋষভ পন্থরা।
ওয়াংখেড়েতে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ জুটি প্রথম থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন। পৃথ্বী ১৭ বলে ৩২ রান করেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা অজি তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ (৯) ও এরপর ঋষভ পন্থ (১৫) শীঘ্রই ডাগআউটে ফিরে গেলেও থেমে থাকেননি শিখর ধাওয়ান। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেও দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান একা হাতে। শিখরের ৪৯ বলে ৯২ রানের ইনিংস সাজানো রয়েছে ১৩ টি বাউন্ডারি এবং ২ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। শেষে মার্কাস স্টয়নিস এবং ললিত যাদব দ্রুত রান সংগ্রহ করে ম্যাচ শেষ করেন। স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৭* রান করে। ললিত যাদব ৬ বলে ১২* রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিন ওয়াংখেড়েতে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। ব্যাট হাতে শুরুটা জমজমাট করেন দুই পাঞ্জাব ওপেনার। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল জুটি পাঞ্জাবের রানের ঘোড়া এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। প্রথম উইকেটে ১২২ রান যোগ করেন এই জুটি। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩৬ বলে ৬৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন। লোকেশ রাহুল করেন ৫১ বলে ৬১ রান। মায়াঙ্কের ইনিংস সাজানো রয়েছে ৭ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে এবং রাহুলের ইনিংসে রয়েছে ৭ টি বাউন্ডারি এবং ২ টি ওভার বাউন্ডারি।
মায়াঙ্ক এবং রাহুল ফিরে যাওয়ার পর ক্রিস গেইল ৯ বলে ১১ রান করে ওকসের উইকেটে পরিণত হন। নিকোলাস পুরান ৮ বলে ৯ রান করে আভেস খানকে উইকেট দিয়ে ফেরত যান। তবে দীপক হুডা এবং শাহরুখ খান ছোটো অথচ গুরুত্বপূর্ণ ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে বড় স্কোরে নিয়ে গেলো। হুডা অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২২* রান করে এবং শাহরুখ ৫ বলে ১৫* রানে অপরাজিত থাকেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন