
তীরে এসে তরি ডুবলো রাজস্থানের। লোকেশ রাহুলকে পাল্টা জবাব দিলেন সঞ্জু স্যামসন। আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই গড়লেন অনবদ্য শতরান। তবে শেষ মুহূর্তে দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। শেষ দু'বলে ৫ রান বাকি থাকলেও উইকেট দিয়ে ফেরত যান স্যামসন। বৃথা যায় ১১৯ রানের দুরন্ত ইনিংস। পাঞ্জাবের মুখে হাসি ফোটান আর্শদীপ সিং। লোকেশ রাহুলরা ৪ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএলের অভিযান শুরু করে।
পাঞ্জাব কিংসের দেওয়া ২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় রাজস্থান। বেন স্টোকস ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই। মনন ভোরা ১২ রান করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেন। এরপর বাটলার (২৫), শিবম দুবে (২৩), রিয়ান পরাগরা (২৫) ছোটো ছোটো ঝড় তুললেও কেউ বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। একা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক। আইপিএল কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান করে ফেলেন তিনি। স্যামসনের ১১৯ রানের ইনিংস সাজানো রয়েছে ১২ টি বাউন্ডারি এবং ৭ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। তবে শেষ পর্যন্ত রাজস্থানকে হারতে হয়। পাঞ্জাবের ৬ উইকেটে ২২১ রানের জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান রয়্যালস।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ২২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে পাঞ্জাব কিংসের। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১৪ রানে ফেরত যান। তবে এরপর দুর্বার গতিতে এগিয়ে যায় রাহুল-গেইল জুটি। দুজনে মিলে ৪৩ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েন। গেইল ২৮ বলে ৪০ রানের একটা সুন্দর ইনিংস উপহার দিয়ে চেতন শাকারিয়ার শিকার হন।
গেইল ফিরে যাওয়ার পর রাহুলের সঙ্গী হতে মাঠে নামেন দীপক হুডা। আর ব্যাট করতে নেমেই ডিনামাইটের মতো ফেটে পড়লেন তিনি। ২৮ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন হুডা। তার ইনিংস সাজানো রয়েছে ৪ টি বাউন্ডারি এবং ৬ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে।
পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক তথা ওপেনার লোকেশ রাহুল এদিন ৫০ বলে ৯১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেও দলকে তিনি বিশাল লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যান। তার ইনিংস সাজানো রয়েছে ৭ টি বাউন্ডারি এবং ৫ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। নিকোলাস পুরান এবং ঝে রিচার্ডসন এদিন রানের খাতা খুলতে পারেনি। শাহরুখ খান অপরাজিত থাকেন ৬* রানে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন