নীতিশ রানা-শুবমন গিলের দুরন্ত শুরু সত্বেও মিডিল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং শেষে কার্তিক-রাসেল জুটির মন্থর ব্যাটিং, কার্যত জেতা ম্যাচ হারালো নাইটদের। ১৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানই সংগ্রহ করতে পারলো কেকেআর। ক্রুনাল পান্ডিয়ার ১৮ নম্বর ওভারে এলো মাত্র ২ রান। ১৯ তম ওভারে জসপ্রীত বুমরাহ দিলেন ৪ রান এবং শেষ ওভারে ১৫ রান বাকি থাকলে, ট্রেন্ট বোল্ট ৪ রান দিয়ে তুলে নিলেন জোড়া উইকেট। আন্দ্রে রাসেল ১৫ বল খেলে মাত্র ৯ রান করেন এবং দিনেশ কার্তিক ১১ বলে মাত্র ৮* রানে অপরাজিত থেকে হারের মুখ দেখেন।
কার্যত হারা ম্যাচ ১০ রানে জিতে নিলো রোহিত শর্মারা। দ্বিতীয় দফায় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুটা দুরন্ত করে দুই নাইট ওপেনার। প্রথম উইকেটে ৭২ রান যোগ করেন শুবমন-নীতিশ জুটি। শুবমন গিল ২৪ বলে ৩৩ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল ত্রিপাঠি ৫ রান করে ফিরে গেলেও নীতিশ রানা অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। রানা ৪৭ বলে ৫৭ রান করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। তবে গিল এবং রানা ফিরে যাওয়ার পর মিডিল অর্ডারে উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে নাইটরা। ত্রিপাঠির পর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (৭) এবং অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (৫) দ্রুত ফিরে যান। এরপর দিনেশ কার্তিক এবং আন্দ্রে রাসেল দলকে সহজ জয় এনে দেওয়ার পরিবর্তে হারের স্বাদ এনে দিলেন। কার্তিকের ১১ বলে ৮* রান এবং রাসেলের ১৫ বলে ৯ রানের ইনিংস কেকেআরের জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিলো।
চেন্নাইয়ে এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাট করতে আসা মুম্বইকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় বরুন চক্রবর্তী। প্রোটিয়া উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডিকক মাত্র ২ রানেই ফিরে যান। এরপর অবশ্য রোহিত শর্মা এবং সূর্যকুমার যাদব জুটি মুম্বইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। রোহিত শর্মা ৩২ বলে ৪৩ রান করেন এবং সূর্যকুমারের ব্যাটে আসে ৩৬ বলে ৫৬ রানের অনবদ্য ইনিংস। তবে রোহিত এবং সূর্যকুমার ফিরে যাওয়ার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মুম্বই। মিডিল অর্ডারে রোহিত শর্মাদের মেরুদন্ড ভেঙে দেয় নাইটরা। ইশান কিশান(১),হার্দিক পান্ডিয়া (১৫),কায়রন পোলার্ড (৫), ক্রুনাল পান্ডিয়া(১৫),মার্কো জেনশেনরা(০) দাঁড়াতেই পারেনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।