সানরাইজার্সদের বিরুদ্ধে ৪২ রানে বড় জয় অর্জন করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ানস। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করে ফেললো কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বইয়ের দেওয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এদিন টসে জেতে মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে রোহিতকে টস জিততেই হতো। তাই এই ম্যাচে অন্তত টসের সাথে সাথেই প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে হলো না মুম্বইকে। কলকাতাকে পেছনে ফেলে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য অবিশ্বাস্য এক ইনিংসের প্রয়োজন ছিলো রোহিতদের। আর সেই উদ্দেশ্যেই প্রথম থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে থাকেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ইউএইতে অফ ফর্মে থাকা ইশান কিশান এদিন ওপেন করতে নেমেই ঝড় তোলেন। মাত্র ১৬ বলেই করলেন অর্ধশতরান। ৩২ বলে ৮৪ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে সানরাইজার্সের আবিষ্কৃত নতুন স্পিডস্টার উমরান মালিকের বলে আউট হয়ে ফিরে যান। ইশানের ইনিংস সাজানো রয়েছে ১১ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে।
ইশান ফিরে যাওয়ার পর হার্দিক পান্ডিয়া (১০), কায়রন পোলার্ড (১৩), জিমি নিজামরা (০) বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রোহিত শর্মাও ১৮ রান করে ফিরে যান প্রথমেই। তবে তাতে মুম্বইয়ের রানের গতি কমেনি। ইশানের পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সূর্যকুমার যাদব। ৪০ বলে ৮২ রানের হার না মানা ইনিংস আসে সূর্যকুমারের ব্যাটে। তাঁর ৮২ রানের মধ্যে রয়েছে ১৩ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারি। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
টুর্নামেন্টের লাস্ট বয় সানরাইজার্সের হয়ে এই ম্যাচে ৪ টি উইকেট তুলে নিয়েছেন জেশন হোল্ডার। তবে হোল্ডার তাঁর চার ওভারে রান দিয়েছেন ৫২। অন্যদিকে মাত্র এক ওভারে দু রান দিয়ে জোড়া উইকেট নিয়েছেন অভিষেক শর্মা। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে জোড়া উইকেট নিয়েছেন রশিদ খানও।
দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নেমে লাস্ট বয় সানরাইজার্সও প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যায়। জেশন রয় (৩৪), অভিষেক শর্মা (৩৩), মণীশ পান্ডেরা (৬৯*) দুরন্ত ইনিংস উপহার দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন