প্লে অফের দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাই কেকেআরের বিরুদ্ধে উইলিয়ামসনরা নিছক নিয়মরক্ষার ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলো। তবে নাইটদের কাছে এই ম্যাচ ছিলো মরণ-বাঁচন লড়াইয়ের। ম্যাচ হারলেও প্লে অফের রাস্তা কার্যত বন্ধই হয়ে যেতো নাইটদের। অবশ্য হায়দরাবাদকে হারাতে বিশেষ ঝক্কি পোহাতে হলো না নাইটদের। রবিবাসরীয় দ্বিতীয় ম্যাচে খুব সহজেই জয় তুলে নিয়েছে মর্গ্যান বাহিনী। হায়দরাবাদকে মাত্র ১১৫ রানে বেঁধে ফেলার পর দু'বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
দ্বিতীয় দফায় রান তাড়া করতে নেমে ভেঙ্কটেশ আয়ার (৮) এবং রাহুল ত্রিপাঠি (৭) শীঘ্রই ফিরে যান। ভেঙ্কটেশের উইকেট নেন হোল্ডার এবং ত্রিপাঠিকে ফেরান রশিদ খান। জোড়া উইকেট দ্রুত হারালেও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি নাইটদের। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শুবমন গিল এবং নীতিশ রানা। শুবমন ৫১ বলে ৫৭ রানের একটি সুন্দর ইনিংস উপহার দেন। নীতিশ রানা ৩৩ বলে ২৫ রান করেন। নীতিশ ফিরে যাওয়ার পর দীনেশ কার্তিক (১৮*) এবং ইয়ন মর্গ্যান (২*) ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন মাত্র ১১৫ রানেই সানরাইজার্সদের বেঁধে ফেলে নাইটরা। টিম সাউদি, শিবম মাভী, বরুণ চক্রবর্তীদের আঁটোসাঁটো বোলিংএর সামনে ফিকে হয়ে যায় হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। ম্যাচের প্রথম বলেই এদিন ঋদ্ধিমান সাহাকে (০) ফেরান টিম সাউদি। জেশন রয় ফিরে যান ১০ রানে। রয় ফিরে যাওয়ার পরে ৩৮ রানের মাথায় সানরাইজার্স তাদের তৃতীয় তথা সবচেয়ে মূল্যবান উইকেটটি হারায়। ২৬ রান সংগ্রহ করে রান আউট হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
মিডল অর্ডারে প্রিয়ম গর্গ (২১) ও আব্দুল সামাদ (২৫) দলকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বাকি ব্যাটাররা দুই অঙ্কের স্কোরই সংগ্রহ করতে পারেননি। নাইটদের হয়ে এই ম্যাচে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি, শিবম মাভী এবং বরুণ চক্রবর্তী। একটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।