
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লীগ ২০২১-এর অভিযান জয় দিয়েই শুরু করলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইয়ে আজ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১০ রানে জয় হাসিল করলো মর্গ্যান বাহিনী। বেয়ারিস্টোর অর্ধশতরান, মণীশ পান্ডের শেষ পর্যন্ত লড়াই কিংবা আব্দুল সামাদের বিস্ফোরক ইনিংস, কোনোটাই জয় এনে দিতে পারলো না সানরাইজার্সদের। হায়দরাবাদের সূর্যকে অস্তমিত করে আলো জ্বাললো নাইটরা। মর্গ্যানদের দেওয়া ১৮৮ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে ডেভিড ওয়ার্নাররা।
দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুতেই দুটি উইকেট হারায় সানরাইজার্স। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ৩ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার শিকার হন এবং ঋদ্ধিমান সাহাকে ৭ রানে ক্লিন বোল্ড করে ফেরান শাকিব-আল হাসান।
দু উইকেট হারানোর পর অবশ্য মনীশ পান্ডে এবং জনি বেয়ারিস্টো জুটি হায়দরাবাদের হাল ধরেন। ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই জুটি। জনি বেয়ারিস্টো ৪০ বলে ৫৫ রান করেন এবং মণীশ পান্ডে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬১* রানে। মহম্মদ নবি(১৪), বিজয় শঙ্কররা (১১) ব্যর্থ হলেও শেষে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন আব্দুল সামাদ। তবে তার ৮ বলে ১৯* রানের ঝড়ো ইনিংসও জয় এনে দিতে পারেনি হায়দরাবাদকে। ১০ রান দূরে থেমে যেতে হয় তাদের।
এদিন প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেন দুই নাইট ওপেনার। শুবমন গিল এবং নীতিশ রানা প্রথম উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন। শুবমন ১৫ রান করে ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নীতিশ রানা। ৫৬ বলে ৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন তিনি। রানার ইনিংস সাজানো রয়েছে ৯ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে।
চেন্নাইয়ে ঝলসে ওঠে রাহুল ত্রিপাঠির ব্যাটও। ত্রিপাঠি ২৯ বলে ৫৩ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫ টি বাউন্ডারি এবং ২ টি ওভার বাউন্ডারি। নীতিশ রানা এবং রাহুল ত্রিপাঠি ফিরে যাওয়ার পর পরপর আন্দ্রে রাসেল (৫), ইয়ন মর্গ্যান (২) ফিরে যান। শাকিব-আল হাসানও ৩ রানে ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন। শেষে ৯ বলে ২২* রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যায় দীনেশ কার্তিক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন