

চলতি আইপিএলে রান করতে ভুলেই গিয়েছেন বিরাট কোহলি। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যাটার আরসিবির জার্সিতে প্রতি ম্যাচেই ব্যর্থ হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত চলতি টুর্নামেন্টে ৯ টি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১২৮ রান। লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে হয়েছেন 'গোল্ডেন ডাক'। শেষ ম্যাচে ওপেন করতে নেমে রাজস্থানের বিপক্ষে দশ বল খেলে করেছেন মাত্র ৯ রান। এরপরেই ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন কোহলির আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। নিজের মনকে সতেজ রাখার জন্য কোহলির বিশ্রামের প্রয়োজন বলে মনে করেন শাস্ত্রী।
রবি শাস্ত্রী জানান, "আমি মনে করি একটি বিরতি তার(কোহলি) জন্য আদর্শ হবে, কারণ সে বিরতিহীন ক্রিকেট খেলছে এবং সব ফরম্যাটে লাগাতার নেতৃত্ব করেছে কোহলি। তার পরও ক্রিকেটের মধ্যেই রয়েছে। তাই আমার মনে হয় এখন ওর একটা বিরতির খুব দরকার। নিজের শরীরকে বোঝাও অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই আমার মনে হয় যদি ও নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করতে চায়, এবং অন্তত ৬-৭ বছর খেলা চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। ওর কাছে যে বিষয়টির গুরুত্ব বেশি, সেটাই ও করুক।"
শুধু কোহলি নন, সব ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যেই শাস্ত্রী বলেন যারা দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চায় তবে বিরতি নিতেই হবে। বিরতি নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় যখন ভারত খেলছে না। আর আইপিএলের সময়ই একমাত্র ভারতের কোনো খেলা থাকেনা। তাই কখনও কখনও আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্তও নিতে হবে। অথবা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আইপিএলের অর্ধেক ম্যাচ খেলার জন্যও বলতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে এই সিদ্ধান্ত গুলো নিতেই হবে বলে মনে করেন শাস্ত্রী।
একসময় বিশ্ব ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানো কোহলির ফর্মে যে ছেদ পড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।চলতি আইপিএলে ব্যর্থতার কঙ্কালসার চেহারাটা প্রায় ধরা পড়েছে। রান করতেই যেনো ভুলে গিয়েছেন তিনি। শুধু আইপিএল নয়। দেশের জার্সিতেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাঁর। কোহলি তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন-রাত্রির গোলাপি বলের টেস্টে। তারপর আর সেঞ্চুরি আসেনি কোহলির ব্যাটে। বিরাটকে বারবার পরামর্শ দিয়েছেন শাস্ত্রী। কোহলির এই দুঃসময়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন রবি শাস্ত্রী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন