
দিল্লির বিপক্ষে ঝলসে উঠলো প্রোটিয়া উইকেট কিপার কুইন্টন ডি'ককের ব্যাট। মাত্র ৫২ বলে ৮০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেললেন এই দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার। সেই সঙ্গে ক্রুনাল পান্ডিয়া(১৯*) ও আয়ূশ বাদোনির(১০) শেষ পর্যায়ের ক্যামিওতে রোমাঞ্চকর ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে চলতি আইপিএলের তৃতীয় জয় তুলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। আঁটোসাঁটো বোলিংএর মাধ্যমে দিল্লিকে এদিন ১৪৯ রানেই আটকে দেয় লখনউ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দু' বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় হাসিল করেন লোকেশ রাহুলরা। সেইসঙ্গে চার ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানেও উঠে আসে নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
ডি ওয়াই পাটিল স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে ভালো শুরু করেও বড় স্কোর সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় দিল্লি ক্যাপিটালস। মাত্র তিনটি উইকেট হারালেও লখনউয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংএর দরুণ দেড়শো রানের গন্ডি অতিক্রম করতে পারেনি ঋষভ পান্তের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানই সংগ্রহ করতে পারে দিল্লি।
অথচ এদিন ঝড়ের গতিতে রান তুলে ক্যাপিটালসকে দুরন্ত শুরু দিয়েছিলেন পৃথ্বী শ। ৯ টি বাউন্ডারি এবং ২ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৩৪ বলে ৬১ রান করেন পৃথ্বী। অষ্টম ওভারে দলগত স্কোর ৬৭ রানের মাথায় পৃথ্বীকে ফিরিয়ে দেন কৃষ্ণাপ্পা গৌথম। এরপরেই রানের গতি ক্রমশ কমতে থাকে। দিল্লির হয়ে দ্বিতীয় বার অভিষেক ঘটিয়ে ১২ বলে মাত্র ৪ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএলে ওয়ার্নার বিষ্ণোইয়ের ৬ টি বল ফেস করেছেন যার মধ্যে আউট হয়েছেন তিন বার। ওয়ার্নারের পর রোভমেন পাওয়েলও ১০ বলে ৩ রান করে চরম ব্যর্থ হয়ে বিষ্ণোইয়ের শিকার হন।
পাওয়েল ফিরে যাওয়ার পর আর উইকেট খোয়াতে হয়নি দিল্লিকে। তবে রানের গতিও বাড়েনি। অধিনায়ক ঋষভ পান্ত ৩৬ বলে ৩৯* রানে অপরাজিত থাকেন এবং সরফরাজ খান অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৩৬* রানে।
দিল্লির দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে কুইন্টন ডি'ককের ৫২ বলে ৮০ রানের নিপুণ ইনিংসে ভর করে সহজ জয় অর্জন করে লখনউ। লোকেশ রাহুল(২৪), এভান লুইস(৫) বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ডি'ককের চওড়া ব্যাটে ভর করে ম্যাচের হাল ধরে সুপার জায়ান্টসরা। দলগত স্কোর ১২২ রানের মাথায় ডি'কক ফিরে যাওয়ার পর অবশ্য কিছুটা চাপের মুখে পড়েছিলো লখনউ। ১৮ তম ওভারে শার্দুল ঠাকুর মাত্র পাঁচ রান দিয়ে হুডা-ক্রুনালকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। তবে তার পরের ওভারেই মুস্তাফিজুর রহমানকে ১৪ রান নিয়ে শেষ ওভারে পাঁচ রানের টার্গেট রাখে তাঁরা। শার্দুল ঠাকুর ২০ তম ওভারের প্রথম বলেই দীপক হুডাকে(১১) ফিরিয়ে দেন। তবে তৃতীয় বলে নতুন ব্যাটার আয়ূশ বাদোনি চার মেরে স্কোর লেভেল করে দেন এবং শেষ বলে স্টাইলিস এক ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন