নাটকীয় লো স্কোরিং ম্যাচে বাজিমাৎ পাঞ্জাব কিংসের। লোকেশ রাহুলদের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে সানরাইজার্স। ৫ রানে জয় অর্জন করেছে পাঞ্জাব কিংস। এই ম্যাচ হেরে চলতি আইপিএলে তলানিতে থাকা সানরাইজার্স আরও তলানিতে তলিয়ে গেলো।
এদিন আইপিএলের দ্বিতীয় খেলায় সানরাইজার্সের সামনে ছিলো ১২৬ রানের সহজ লক্ষ্য। তবে পাঞ্জাব কিংস শুরু থেকেই জয়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যান। হায়দরাবাদের দুই নির্ভরযোগ্য বিদেশী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার(২) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে(১) শুরুতেই ফিরিয়ে পাঞ্জাবকে স্বস্তি এনে দেন মহম্মদ শামি। মনীশ পান্ডে(১৩), কেদার যাদব(১২), আব্দুল সামাদরা(১) দলকে জয় এনে দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হন। শেষ বল পর্যন্ত কার্যত একা হাতেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন জেশন হোল্ডার। তবে ২৯ বলে ৪৭* রানে অপরাজিত থাকা হোল্ডারের সেই লড়াইও ব্যর্থ।
পাঞ্জাব কিংসের হয়ে বল হাতে অনবদ্য প্রদর্শন করেন মহম্মদ শামি ও রবি বিষ্ণোই। মহম্মদ শামি তাঁর ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেন। রবি বিষ্ণোই তাঁর ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ টি উইকেট। এছাড়াও একটি উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং।
শনিবার ডবল হেডারের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন উইলিয়ামসন। হায়দরাবাদের বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিংএর সৌজন্যে পাঞ্জাব কিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানই সংগ্রহ করতে পারে। শুরুতেই পাঞ্জাবের দুই নির্ভরযোগ্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে কিংসের শিবিরে বড় ধাক্কা দেন জেশন হোল্ডার। ক্রিস গেইলের ব্যাট এদিন চলেনি। গেইল ফিরে যান ১৪ রানেই। এরপর একে একে উইকেট খসতে থাকে। নিকোলাস পুরান(৮), দীপক হুডা(১৩), নাথান এলিসদের (১২) কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। এডেন মার্করাম করেন ২৭ রান।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তিনটি মূল্যবান উইকেট তুলে নেয় জেশন হোল্ডার। এছাড়াও ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ১ টি উইকেট তুলেছেন রশিদ খান। একটি করে উইকেট আসে সন্দীপ শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার এবং আব্দুল সামাদের ঝুলিতে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।