শারজায় দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লির দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্য মাত্রা ১০ বল হাতে রেখেই জয় অর্জন করেছে নাইট বাহিনী। মিডিল অর্ডারে উইকেট হারালেও শুবমন গিল, নীতিশ রানা, সুনীল নারিনদের ইনিংস কেকেআরকে ২ পয়েন্ট এনে দিয়েছে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভেঙ্কটেশ আয়ারের উইকেট শীঘ্রই হারিয়ে ফেলে কেকেআর। ভেঙ্কটেশ ১৪ রান করে ফিরে যান। রাহুল ত্রিপাঠি(৯) ও অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের ব্যাটও এদিন চলেনি। তবে হতাশ করলেন না নীতিশ রানা। শুবমন গিল ৩০ রান করে ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচের ভার সামলান রানা। ২ টি বাউন্ডারি এবং ২ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ২৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। পাশাপাশি ১০ বলে ২১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করলেন সুনীল নারিন।
দিল্লির হয়ে বল হাতে এই ম্যাচে ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট তুলে নিলেন আভেস খান। এছাড়াও একটি করে উইকেট অর্জন করেন এনরিচ নর্তজে, কাগিসো রাবাডা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ললিত যাদব।
মঙ্গলবার শারজায় টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। রাজস্থানকে মাত্র ১২৭ রানেই বেঁধে ফেলে নাইটদের বোলিং বিভাগ। দিল্লির হয়ে স্টিভ স্মিথ এবং শিখর ধাওয়ান শুরুটা ভালো করলেও মিডিল অর্ডারে ব্যাটিং ব্যর্থতা দিল্লিকে জর্জরিত করে। শিখর ধাওয়ান ২০ বলে ২৪ রান করেন এবং স্মিথের ব্যাটে আসে ৩৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। ওপেনার জুটি ফিরে যাওয়ার পর দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ একা হাতে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন পন্থ। এছাড়া আর কোনো দিল্লি ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের স্কোর করতে পারেননি। শ্রেয়স আয়ার(১), শিমরন হিটমায়ার(৪), রবিচন্দ্রন অশ্বিন(৯), আভেস খানরা(৫) দাঁড়াতেই পারেননি। অক্ষর প্যাটেল ও ললিত যাদব খুলতে পারেননি রানের খাতাই।
নাইটদের হয়ে এই ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে জোড়া উইকেট তুলে নেয় সুনীল নারিন। এছাড়াও ২ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে জোড়া উইকেট নিয়েছেন লকি ফার্গুসনও। ব্যাট হাতে নজর কাড়ার পর এদিন বল হাতেও দুরন্ত প্রদর্শন করলেন কেকেআরের নতুন আবিষ্কার ভেঙ্কটেশ আয়ার। ভেঙ্কটেশের ঝুলিতেও এলো দুটি উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
