
মুম্বই ইন্ডিয়ানসকে ২০ রানে হারিয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচ জিতে নিলো চেন্নাই সুপার কিংস। দুই হেভিওয়েট দলের লড়াইয়ে ছিলো চরম উত্তেজনা। তবে শেষ হাসি হাসলো চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচ জয়ের সাথে সাথেই ধোনিরা পৌঁছে গেলো লীগ টেবিলের শীর্ষে। চেন্নাইয়ের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছে পোলার্ড বাহিনী।
দ্বিতীয় দফায় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন কুইন্টন ডিকক। তবে ডিকক ১২ বলে ১৭ রান করে দীপক চাহারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যাওয়ার পরেই ছন্দপতন ঘটে মুম্বইয়ের। এই ম্যাচে মুম্বইয়ের জার্সিতে অভিষেক ঘটানো আনমোলপ্রীত সিং ১৬ রান করে দীপক চাহারের শিকার হন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সূর্যকুমার যাদব মাত্র ৩ রানই করতে পারেন।
দুবাইয়ে এই ম্যাচে ব্যাট চলেনি ইশান কিশানেরও। মাত্র ১১ রান করেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেন এই পিঞ্চ হিটার। মুম্বই তাদের দুই প্রধান অস্ত্র রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে ছাড়াই খেলতে নামেন। এই দুজনের অভাবটা এই ম্যাচে বেশ অনুভব করতে হয়েছে তাদের। এই ম্যাচে মুম্বইয়ের অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড ১৫ রান করে অজি পেসার জস হেজেলউডের শিকার হলেন। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪ রান করেই রান আউট হন। শেষ পর্যন্ত সৌরভ তিওয়ারি অপরাজিত থাকলেও তিনি দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ৪০ বলে ৫০* রানে অপরাজিত থাকেন সৌরভ।
চেন্নাইয়ের বোলাররা এদিন প্রথম থেকেই আঁটোসাঁটো বোলিং করতে থাকেন। ডোয়েন ব্র্যাভো ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৩ টি উইকেট। জোড়া উইকেট নিয়েছেন দীপক চাহার এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর ও জস হেজেলউড।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চেন্নাই। মাত্র ৭ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ফাফ ডু প্লেসি এবং মঈন আলি রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান। অম্বতি রায়ডু রান না করেই আহত হয়ে ফিরে যান। সুরেশ রায়না আউট হন ৪ রান করে। চেন্নাইয়ের চতুর্থ উইকেট পড়ে ২৪ রানের মাথায়। দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি মাত্র ৩ রানই স্কোর বোর্ডে যোগ করতে পারেন। প্রথম চার উইকেটের মধ্যে ডু প্লেসি ও রায়নাকে ফেরান বোল্ট এবং মঈন আলি ও ধোনিকে ফেরান মিলনে।
একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও ব্যাট হাতে একা দাঁড়িয়েছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড। কুইন্টন ডিকক গায়কোয়াডের প্রথম দিকেই ক্যাচ হাতছাড়া করলে, চেন্নাই ওপেনার আর সুযোগ দেননি। কার্যত একা হাতেই দলকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান। ৫৮ বলে অপরাজিত ৮৮* রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন তিনি। গায়কোয়াডের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন রবীন্দ্র জাদেজা (২৬) ও ডোয়েন ব্র্যাভো (২৩)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন